মমতার মাস্টারস্ট্রোক, বেকায়দায় বিজেপি, কি করলেন জেনে নিন!

Advertisement

Advertisement

রাজীব ঘোষ: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ‍্য জুড়ে তৃণমূল ছেড়ে একাধিক বিধায়ক, কাউন্সিলর, নেতা কর্মীরা দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।ফলে রাজ‍্যের একাধিক পুরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল।বিজেপির দখলে এসেছিল পুরসভাগুলো। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি, হালিশহর, ভাটপাড়া, নোয়াপাড়া, কাচড়াপাড়া সহ বেশ কয়েকটি পুরসভা বিজেপির দখলে যায়।বেশ কিছু পুরসভার মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে।শনিবার তৃণমূল ভবনে নৈহাটি পুরসভার ১০ জন এবং গারুলিয়া পুরসভার ২ জন কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে যোগদান করেন।রাজ‍্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাদের দলে স্বাগত জানান।

Advertisement

তিনি এই কাউন্সিলরদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি ভয় দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের জোর করে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছিল।ব‍্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করার পর থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল।সেই সন্ত্রাসের কবলে পড়ে দলের অনেক কাউন্সিলর দল বদল করতে বাধ‍্য হয়েছেন।তারা পরে বুঝতে পেরেছেন তৃণমূল তাদের পরিবার।তাই তারা ফের মমতার দলে ফিরে এসেছেন।

Advertisement

নৈহাটি পুরসভার ১০ জন কাউন্সিলর ফিরে আসায় তৃণমূলের মোট কাউন্সিলর হলো ২৩ জন।আবার গারুলিয়া পুরসভার ২ জন কাউন্সিলর ফিরে আসায় তৃণমূলের কাউন্সিলর হলো ১০ জন।এদিন ওই কাউন্সিলরদের সঙ্গে বিজেপির যুব নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী এবং সিপিএমের নেতা প্রাঞ্জল গুহনিয়োগী তৃণমূলে যোগদান করেন।পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, কারোর মাথা খারাপ না হলে তৃণমূল ছেড়ে যাবেন না।যারা চলে গিয়েছেন তারা সবাই ফিরে আসবেন।যারা নতুন যাচ্ছেন, তারাও ফিরে আসবেন।ফিরহাদ আরও বলেন, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া পুরসভাগুলিতে নির্বাচন হবে।স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির কাছে এটা একটা ধাক্কা।

Advertisement