রাজীব ঘোষ: রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি জ্যোতিপ্রয় মল্লিক বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন।এই দাবি করেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।তিনি আরও বলেন, রাজ্যের ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।অর্জুন সিংয়ের এই কথায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া পুরসভাগুলি ফের তৃণমূলের দখলে চলে এসেছে।লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পর থেকেই ব্যারাকপুর সংলগ্ন এলাকার পুরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলররা দলে দলে বিজেপিতে যোগদান করেন।ফলে একে একে তৃণমূলের হাতছাড়া হয় কাচড়াপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, গারুলিয়া পুরসভা।
কিন্তু বেশ কিছুদিন পর এই পুরসভার দলত্যাগী কাউন্সিলররা ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসেন।তার ফলে আবার কাচড়াপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি পুরসভা তৃণমূলের দখলে চলে আসে।এদিন তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রয় মল্লিকের নেতৃত্বে নৈহাটি এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল।সেই মিছিলের পরে জ্যোতিপ্রয় মল্লিক বলেন, বিজেপি এই সব কাউন্সিলরদের ভয় দেখিয়ে দলবদল করিয়েছিল।তৃণমূল কাউন্সিলরদের পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখিয়েছিল।অস্ত্র দেখিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে বাধ্য করে তৃণমূল কাউন্সিলরদের।পরে তারা বুঝতে পেরে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতার ফলে এখানকার পুরসভাগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলেই থাকল।জ্যোতিপ্রয় আরও বলেন, পূজোর পরে ভাটপাড়া ও গারুলিয়া পুরসভাও তৃণমূলের দখলে চলে আসবে।ওই পুরসভার কাউন্সিলররা দলের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।এমনকি জ্যোতিপ্রয় গারুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ও নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং ফের তৃণমূলে আসতে চাইছেন বলে জানান।এর উত্তরে সুনীল সিং বলেন, কিছুদিন আগেই মন্ত্রী ও তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রয় মল্লিক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করছিলেন।এই বিষয়ে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, রাজ্যের ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।জ্যোতিপ্রয় মল্লিক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।তবে অর্জুন সিং তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রয় মল্লিককে তোলাবাজ, দালাল, চোর বলে কটাক্ষ করে বলেন,জ্যোতিপ্রয় মল্লিককে বিজেপিতে নেওয়া যাবে না।