করোনাভাইরাস বিধি ভেঙে বার এবং রেস্টুরেন্ট চালানোর জন্য আবারো খবরের শিরোনামে উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র শিলিগুড়ি। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও শিলিগুড়ির একটি বারে চলছিল মদ্যপান। শনিবার রাতে সেই বারে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়।
শনিবার নির্দিষ্ট সময়ের পরেও শিলিগুড়ির একটি বারে চলছিল পার্টি। সূত্রের মারফত খবর পেয়ে প্রধান নগর থানার পুলিশ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি বার এ অভিযান চালায় রাত্রি সাড়ে নটার দিকে। সেখানে দেখা যায় তখনও পর্যন্ত দেদার মদ্যপান এবং খাওয়া-দাওয়া চলছে। করোনাভাইরাস প্রটোকল ভেঙে বার চালু রাখা এবং মদ্যপান করার অভিযোগে সেখান থেকে এক কর্মীসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বারের মালিক এবং ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে।
বর্তমানে রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কোভিড প্রটোকল কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।কিন্তু এখনও পর্যন্ত বার এবং রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে নিয়মাবলী কার্যকর রয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়ে দিয়েছিলেন বর্তমানে রাত্রি আটটার পরে কোনরকম বার এবং রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে না। কিন্তু শিলিগুড়ির এই হোটেলে রাত আটটার পরেও চলছিল দেদার মদ্যপান এবং খাওয়া-দাওয়া। এর আগেও শিলিগুড়িতে একটি নামকরা হোটেলের বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগ উঠেছিল। আবারো শিলিগুড়িতে এই একই রকম অভিযোগ ওঠায় প্রশ্ন উঠছে শিলিগুড়ি প্রশাসনের উপরে।
বর্তমানে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস বিধি চলছে। এখনো তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে, আমাদের অতিরিক্ত সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কিন্তু ডাক্তারদের চিন্তার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে মানুষের এইরকম বেপরোয়া মনোভাব। চলতি মাসে পার্ক স্ট্রিটের একটি অভিজাত হোটেলে পার্টি আয়োজন করা হয়েছিল। সেই হোটেলে আয়োজকদের সঙ্গে বচসা এবং ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। সেখান থেকে ৩৭ জনকে গ্রেফতার করে পাক স্টিট থানার পুলিশ। এর পরেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে শিলিগুড়িতে। সেখান থেকেও ৪১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরে আবারো এই এক রকম একটি ঘটনা। এই সমস্ত ঘটনা বারবার প্রমাণ করে দিচ্ছে, এখনো পর্যন্ত মানুষ করোনাভাইরাস এর ব্যাপারে খুব একটা সিরিয়াস হতে পারলেন না।