করোনা প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে সেই মার্চ মাস থেকে স্কুল বন্ধ আছে। অনলাইনে চলছে পঠন-পাঠনের কাজ। তবে অনলাইন মাধ্যমে সবাই সমানভাবে সুযোগ পাচ্ছে না বলে বাড়ছে চিন্তা। অন্যদিকে বছর ঘুরলেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার অনলাইনে পড়াশোনা করার জন্য দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে হঠাৎ করে এত কম সময়ের মধ্যে সাড়ে ৯ লক্ষ ট্যাব কিনে বিতরণ করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। তাই আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন যে বাস্তবতা বিচার করে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে দেওয়া হবে।
আজকের নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা দরপত্র ডাকলে খুব বেশি হলেও এক থেকে দেড় লক্ষ ট্যাবের ব্যবস্থা করতে পারব। অন্যদিকে চিনা ট্যাব কেনার কোন ইচ্ছা নেই বা ভারত সরকার বারণ করে দিয়েছে। তাই অফিসারদের সাথে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এত কম সময়ের মধ্যে আমরা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে দেবো।”
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন,”করোনাভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা খুবই সমস্যায় পড়েছে। তারা ঠিকমতো অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে না। রাজ্য সরকার সব সময় রাজ্যের ভবিষ্যৎ স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ায়। তার জন্যই এর আগে ক্লাস নাইনের ছাত্র ছাত্রীদের সবুজ সাথী সাইকেল দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এছাড়াও ক্লাস ফাইভ থেকে সমস্ত তপশিলি জাতি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এছাড়াও ক্লাস এইট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অব্দি কন্যাশ্রীর টাকা পায় ছাত্রীরা। তাই এবার অনলাইন ক্লাস ঠিকমতো করার জন্য বিনামূল্যে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
তবে আজকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর ট্যাব হাতে তুলে দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। তার পরিবর্তে ১০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়া হবে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর একাউন্টে। তারা সেই পয়সা দিয়ে নিজেদের সুবিধামতো মোবাইল বা ট্যাব কিনে নিতে পারবে। তিনি জানিয়েছেন, “আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যেই সবার অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে।”