করোনা মানচিত্রে কোলকাতা, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪২
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে গোটা বিশ্বে ব্যহত স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। ক্রমশ বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। একই অবস্থা ভারতেও। বর্তমানে ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৪২ জন। যার মধ্যে ২২জন বিদেশি। কর্নাটক, দিল্লির, এবং মুম্বইতে মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত ৩ জনের। ভারতে করোনা ভাইরাসে সবথেকে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে, সেখানে ৩৯ জন এখনো পর্যন্ত আক্রান্ত বলে জানা যায়। মঙ্গলবার কোলকাতাতে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়।
ভারতে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল কর্নাটকের বাসিন্দা ৭৬ বছরের মহম্মদ হুসেন সিদ্দিকির। সৌদি আরবে তীর্থ থেকে ফিরে ২৯ ফেব্রুয়ারি যখন হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে তাঁর স্ক্রিনিং করা হয় তখন সংক্রমণের চিহ্ন পাওয়া না গেলেও তার কয়েকদিন পর শ্বাসকষ্ট এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হওয়ায় ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। গত মঙ্গলবার ওই বৃদ্ধ মারা যান। জানা যায় ওনার মেয়ের দেহে করোনা সংক্রমণের নমুনা পাওয়ায় ভর্তি হাসপাতালে।
দিল্লিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬৮ বছর বয়সী এক মহিলা মারা যান, যা ভারতের করোনা তে আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় মৃত্যু। দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে মৃত ওই বৃদ্ধার ছলে করোনা আক্রান্ত, ছেলের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে অনুমান। মুম্বইতে করোনা আক্রান্তে তৃতীয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ৬৪ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ মারা গেছেন মুম্বইয়ের কস্তুরবা হাসপাতালে।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে প্রথম যুবকের শরীরে মিলল করোনা জীবাণু, ভর্তি বেলেঘাটা আইডিতে
কলকাতা তেও মঙ্গলবার আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল, আক্রান্ত এক তরুণ।ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিসেস (নাইসেড)-এ ওই তরুণের লালারসের নমুনা পাঠানো রিপোর্ট পজিটিভ আসে মঙ্গলবার রাতে। সম্প্রতি এই তরুণ ইংল্যান্ড থেকে ফিরেছে। দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ওই তরুণ কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে, শুধু সেই নয় তার বাবা, মা এবং গাড়ির চালকও ভর্তি হাসপাতালে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’নোভেল করোনাভাইরাসকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে, পশ্চিমবঙ্গে ১২ হাজারেরও বেশি নাগরিককে রাখা হয়েছে বাড়িতে সেলফ কোয়ারিন্টাইনে। ভারতেও দ্রুত গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সতর্কতা অবলম্বনে সারা দেশে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, থেকে হল প্রভৃতি বন্ধ রাখা হয়েছে,ভিড় এলাকা, শপিং মল প্রভৃতি এড়িয়ে যেতে বলা হচ্ছে।