Coin : কেন দু টাকা এবং দশ টাকার কয়েনে তৈরি করা হতো চারটি করে লাইন? জানুন এর আসল অর্থ
অনেকেই কিন্তু এই চারটি লাইনের ব্যাপারে বিস্তারিত জানেনা
ভারতীয় মুদ্রা ভারতের একটা গর্ব। এই মোদীরা সম্পর্কিত অনেক তথ্য সময়ে সময়ে মানুষের সামনে আসে এবং সময়ের সাথে সাথে এই তথ্য অনেক সময় পরিবর্তন হয়। কিছুদিন আগে হয়ে গিয়েছিল নোটব্যান। মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই অকেজো হয়ে গিয়েছিল কোটি কোটি নোট। মুদ্রার পরিবর্তন প্রতি দেশেই প্রয়োজনীয় যাতে মুদ্রা আপডেট থাকতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এর মান বজায় থাকে। কিন্তু আপনি কি দেখেছেন দুই টাকার মুদ্রা বাজারে কেবলমাত্র একটা নয় অনেকগুলো রয়েছে।
কোন কোন মুদ্রার নকশা এক রকম আবার কোন দুই টাকার মুদ্রার নকশা আরেক রকম। শুধু তাই নয় দশ টাকার কয়েন নিয়েও নানা সময়ে নানা কথা শোনা যায়। এই ধরুন কয়েন নকল কিংবা কয়েন বাজারে গৃহীত হচ্ছে কিনা সেই নিয়ে অনেক কথা শোনা যায় ১০ টাকার কয়েন নিয়েও। কিন্তু এর পেছনের আসল কারণটা কি জানেন?
দুই টাকা এবং দশ টাকার কয়েন নিয়ে বেশ কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে বিগত কয়েক বছরে। আপনারা হয়তো জানেন মুদ্রা গুলির মাঝখানে একটা ছিদ্রযুক্ত নকশা তৈরি করা হয়েছিল একটা সময়। এই নকশা সম্পর্কে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের একটা নিজস্ব যুক্তি ছিল। এই লাইনের মধ্যে একটা সাদৃশ্য দেখা যেত। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছিল পারস্পরিক সম্প্রীতির প্রতীক এই সমস্ত লাইন। এই লাইন একে অপরের সাথে মিলিত হওয়ার পরে চারপাশে চারটি বিন্দুও ছিল। যদিও এই মুদ্রা আর ব্যবহার হয় না।
পরবর্তীতে এই চারটি লাইন নিয়ে একটা ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। বলা হয় খ্রিস্ট ধর্মের ক্রুশের সাথে এই চারটি লাইনের তুলনা করা হয়েছে। এছাড়াও এই মুদ্রার মাধ্যমে খ্রিস্ট ধর্মের প্রচার হচ্ছে বলে ধারণা করে নিয়েছিলেন অনেকে। তারপর এই এই মুদ্রার প্রচার বন্ধ হয় এবং এই মুদ্রা নিষিদ্ধ করে দেবার দাবি ওঠে। এখনো যদিও এই ধরনের মুদ্রা ভারতের বাজারে চলে কিন্তু এখন আর প্রোডাকশন হয় না। পুরনো কয়েনে নকশা থাকলেও নতুন কয়েন একেবারেই অন্যরকম।