Categories: অফবিট

প্রবল বৃষ্টিপাত, একাধিক সাইক্লোন এবং বেশ ঠাণ্ডা সবমিলিয়ে বিদায় নিচ্ছে ২০১৯

Advertisement

Advertisement

২০১৯ সালের মে মাসে ভারত বর্ষ দেখেছে এক বীভৎস সাইক্লোন ফনির প্রভাব। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ধ্বংস হয়ে গেছিল ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চল। তাছাড়াও জুন-জুলাই মাসে যে অতিরিক্ত গরম ভারতবর্ষতে পড়েছিল তা গত তিন দশকে কখনো এমনটা দেখা যায়নি। তার নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বটে। এতে মারা গেছে প্রায় ২০০ জন মানুষ।

Advertisement

তবে প্রায় দু’দশক ধরে দিল্লির তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রী থাকছে জুন মাসে। যেখানে রাজস্থানের তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ৫০ ডিগ্রীর উপর। অতিরিক্ত গরম তাপমাত্রার জন্য বনাঞ্চলে আগুন লাগার পরিমাণ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন : বাড়তে চলেছে লোকাল এবং দূরপাল্লা ট্রেনের ভাড়া

Advertisement

তবে গরম কমতেই যখন বর্ষাকালে বৃষ্টির আগমন হয়েছে তখনই গ্রামের পর গ্রাম ভেসে গেছে প্লাবনের ঢেউয়ে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে বিহার, মহারাষ্ট্র পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ সকল জায়গার শহর এবং গ্রাম ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে গেছে। বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টির সাথে সাথে ২০১৯ এ ভারত বর্ষ দেখেছিল অতিরিক্ত জল কষ্টে তৈরি হওয়া খরা। বিদর্ভ এবং মহারাষ্ট্র খরার আগুনে ঝলসে গিয়েছিল।

২০১৯ সালে সাতটা সাইক্লোন এ বিধ্বস্ত হয়েছিল গোটা ভারত বর্ষ। যার মধ্যে চারটি সাইক্লোন এর উৎপত্তিস্থল ছিল আরব সাগর। নভেম্বর মাসে আরব সাগর থেকে উৎপত্তি হওয়া সাইক্লোন ‘মহা’ আর ‘কাইয়ার’। ঠিক ওই সময়ে বুলবুল সাইক্লোন টি তৈরি হয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। মূলত সাইক্লোন গুলি আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে হয়েছিল এর কারণ হিসেবে জানা গেছে মূলত আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং সমুদ্রের জল গরম হয়ে যাওয়ার জন্যই এগুলি হয়েছে।

বর্ষায় সাইক্লোনে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে বড়দিনের আনন্দে মেতে ওঠার কথা ভারতবাসির। আর তার সঙ্গে পড়েছে জাঁকিয়ে শীত। হাড় কাঁপানো শীতে কেঁপেছে গোটা ভারত বর্ষ। মাঝে মাঝে পশ্চিমী ঝঞ্জা বৃষ্টি হওয়ার পরই জাঁকিয়ে পড়েছে ঠান্ডা। সব মিলিয়ে ঠাণ্ডা গরম এবং বৃষ্টির খামখেয়ালিপনা সহ্য করল 2019 সাল।

Tags: offbeat

Recent Posts