রাজ্য

কাজে এলোনা সন্দেশখালি ইস্যু, বিশাল ব্যবধানে বিজেপিকে পরাজিত করে বাংলায় সবুজ ঝড়

তৃণমূল কংগ্রেসের ওপরেই ভরসা রাখল বাংলার মানুষ

Advertisement

Advertisement

বাংলায় আবারও ঘাসফুলের জয়জয়কার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেগ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে বাংলার ৪২ টি আসনের মধ্যে ২৯ টি আসনে জয়লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস। সভা মঞ্চ থেকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মোদী শাহের অহংকারের পতন হয়েছে। মানুষ ওদের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে। এই জয় মানুষের জয়। বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার জয়। আমি আমার সমস্ত ইন্ডিয়ার সঙ্গীদের সমর্থন জানাচ্ছি, যারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। যারা আমাদের সঙ্গে জুড়তে চান। সবাইকে আমার শুভেচ্ছা।”

Advertisement

এই নির্বাচনে, বাংলায় রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির বহু হেভিওয়েট প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। শুরু থেকেই মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র নিয়ে আশা ছিল বামেদের। তরুণ প্রার্থীর মধ্যেও মোঃ সেলিম এর উপরে আস্থা রেখে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বাম কংগ্রেস জোট। কিন্তু তাতেও বামেদের মরা গাঙে বান এলোনা। মুর্শিদাবাদে জিততে পারলেন না মোহাম্মদ সেলিম। ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ২১৫ ভোটের ব্যবধানে এই আসনে জয়লাভ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আবু তাহের খান।

Advertisement

মেদিনীপুরে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন জুন মালিয়া। ভূমিকন্যা হিসেবে নিজেকে জাহির করেছেন অনেকবারই। বিজেপির অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে বিকেলে এই আসনে জয়লাভ করেন জুন মালিয়া। তপশিলি জাতি অধ্যুষিত আরামবাগে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগ। প্রথম থেকেই তিনি এগিয়েছিলেন। বিকেলে অবশেষে তার জয় নিশ্চিত হয়।

Advertisement

রানাঘাটে গড় ধরে রাখতে পারল বিজেপি। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারী কে হারিয়ে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করলেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। ভোটের আগে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন মুকুটমনি। আলিপুরদুয়ারে প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার জয় নিশ্চিত হতে দেখা যায়। অবশেষে সন্ধ্যের দিকে আলিপুরদুয়ারে ওঠে গেরুয়া ঝড়। মতুয়া ভোটের ভাগাভাগি হলেও বনগায় শেষমেশ জয়লাভ করলেন শান্তনু ঠাকুর। ঠাকুর বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকা, সিএএ নিয়ে প্রচার, সবকিছু নিয়ে সান্তনু ঠাকুর ছিলেন প্রথম থেকেই শিরোনামে। অনেকে ভেবেছিলেন মমতাবালা ঠাকুরের দিকে সহানুভূতির হাওয়া বইতে পারে। তবে শেষমেষ রাত আটটার দিকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের গণনা শেষ হয় এবং দেখা যায় শান্তনু বনগাঁ কেন্দ্রে প্রায় ৭৩ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছেন।

যাদবপুর আসলে বিরাট বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। তার প্রাপ্ত ভোট ২ লক্ষ ৬৬ হাজার। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এগিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি জয় ধরে রাখতে পেরেছেন। যাদবপুরের তৃতীয় স্থানে শেষ করেছেন সিপিএমের তরুণ প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। বহিষ্কৃত হয়ে যাওয়ার পর আবারও সংসদে ফিরছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। বিতর্ককে পিছনে ফেলে ৫২ হাজার ১৯৬ ভোটে বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃত রায়কে পিছনে ফেলে জয় নিশ্চিত করেছেন মহুয়া। মত লোকসভা ভোটে ৩ লক্ষ ২১ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে সেই ব্যবধান প্রায় দ্বিগুনেরও বেশি করে, ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩০ ভোটে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

জলপাইগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায় নিজের গড় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তমলুক কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে পিছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায় ৩৮ হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। দ্বিতীয়বার শিল্প শহরে শেষ হাসি হাসলেন শত্রুঘ্ন।

কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় নিশ্চিত জয়ের দিকে এগিয়েছেন সৌমেন্দু অধিকারী। এখনো এই কেন্দ্রে রি কাউন্টিং চলছে। তবে মনে করা হচ্ছে সৌমেন্দু অধিকারী জয়লাভ করছেন এই কেন্দ্রে। হুগলি কেন্দ্রে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করলেন দিদি নম্বর ওয়ান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরে নিজের জায়গা ধরে রাখলেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থীকে ৮৪ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করলেন তিনি।

কলকাতা দক্ষিনে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়। ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। তৃণমূল ঝড়ে উড়ে গেল বাঁকুড়ার প্রতিরোধ। বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার সুভাষ সরকারকে ৩৩ হাজার ভোটে পরাজিত করে জয়ী হলেন তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। ভগবানগোলায় বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রিয়াত হোসেন। প্রায় ১৫ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি।

বাংলায় আবারও ঘাসফুলের জয়জয়কার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেগ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে বাংলার ৪২ টি আসনের মধ্যে ২৯ টি আসনে জয়লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস। সভা মঞ্চ থেকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মোদী শাহের অহংকারের পতন হয়েছে। মানুষ ওদের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে। এই জয় মানুষের জয়। বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার জয়। আমি আমার সমস্ত ইন্ডিয়ার সঙ্গীদের সমর্থন জানাচ্ছি, যারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। যারা আমাদের সঙ্গে জুড়তে চান। সবাইকে আমার শুভেচ্ছা।”

এই নির্বাচনে, বাংলায় রীতিমত ঝড় তুলে দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির বহু হেভিওয়েট প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। শুরু থেকেই মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র নিয়ে আশা ছিল বামেদের। তরুণ প্রার্থীর মধ্যেও মোঃ সেলিম এর উপরে আস্থা রেখে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বাম কংগ্রেস জোট। কিন্তু তাতেও বামেদের মরা গাঙে বান এলোনা। মুর্শিদাবাদে জিততে পারলেন না মোহাম্মদ সেলিম। ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ২১৫ ভোটের ব্যবধানে এই আসনে জয়লাভ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আবু তাহের খান।

মেদিনীপুরে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন জুন মালিয়া। ভূমিকন্যা হিসেবে নিজেকে জাহির করেছেন অনেকবারই। বিজেপির অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে বিকেলে এই আসনে জয়লাভ করেন জুন মালিয়া। তপশিলি জাতি অধ্যুষিত আরামবাগে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগ। প্রথম থেকেই তিনি এগিয়েছিলেন। বিকেলে অবশেষে তার জয় নিশ্চিত হয়।

রানাঘাটে গড় ধরে রাখতে পারল বিজেপি। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারী কে হারিয়ে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করলেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। ভোটের আগে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন মুকুটমনি। আলিপুরদুয়ারে প্রথম থেকেই এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার জয় নিশ্চিত হতে দেখা যায়। অবশেষে সন্ধ্যের দিকে আলিপুরদুয়ারে ওঠে গেরুয়া ঝড়। মতুয়া ভোটের ভাগাভাগি হলেও বনগায় শেষমেশ জয়লাভ করলেন শান্তনু ঠাকুর। ঠাকুর বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকা, সিএএ নিয়ে প্রচার, সবকিছু নিয়ে সান্তনু ঠাকুর ছিলেন প্রথম থেকেই শিরোনামে। অনেকে ভেবেছিলেন মমতাবালা ঠাকুরের দিকে সহানুভূতির হাওয়া বইতে পারে। তবে শেষমেষ রাত আটটার দিকে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের গণনা শেষ হয় এবং দেখা যায় শান্তনু বনগাঁ কেন্দ্রে প্রায় ৭৩ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছেন।

যাদবপুর আসলে বিরাট বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। তার প্রাপ্ত ভোট ২ লক্ষ ৬৬ হাজার। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এগিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি জয় ধরে রাখতে পেরেছেন। যাদবপুরের তৃতীয় স্থানে শেষ করেছেন সিপিএমের তরুণ প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। বহিষ্কৃত হয়ে যাওয়ার পর আবারও সংসদে ফিরছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। বিতর্ককে পিছনে ফেলে ৫২ হাজার ১৯৬ ভোটে বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃত রায়কে পিছনে ফেলে জয় নিশ্চিত করেছেন মহুয়া। মত লোকসভা ভোটে ৩ লক্ষ ২১ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে সেই ব্যবধান প্রায় দ্বিগুনেরও বেশি করে, ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩০ ভোটে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বালুরঘাট কেন্দ্রে নিজের জায়গা দখল করে রাখলেন বিজেপির সুকান্ত মজুমদার। যদিও, তার জয়ের ব্যবধান ছিল খুবই কম। প্রথমদিকে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও শেষ দিকে মাত্র ১৬ হাজার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকটি ইভিএম এর পুনর্গণনা হবার পরে, শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এখন বিষ্ণুপুরে মাত্র ৫ হাজার ভোটে নিজের প্রাক্তন স্ত্রীকে পিছনে করে এগিয়ে গিয়েছেন সৌমিত্র খা।

জলপাইগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায় নিজের গড় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তমলুক কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে পিছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায় ৩৮ হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। দ্বিতীয়বার শিল্প শহরে শেষ হাসি হাসলেন শত্রুঘ্ন।

কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় নিশ্চিত জয়ের দিকে এগিয়েছেন সৌমেন্দু অধিকারী। এখনো এই কেন্দ্রে রি কাউন্টিং চলছে। তবে মনে করা হচ্ছে সৌমেন্দু অধিকারী জয়লাভ করছেন এই কেন্দ্রে। হুগলি কেন্দ্রে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করলেন দিদি নম্বর ওয়ান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরে নিজের জায়গা ধরে রাখলেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থীকে ৮৪ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করলেন তিনি।

কলকাতা দক্ষিনে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়। ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। বিজেপির তাপস রায় কে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে জয়লাভ করলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ঝড়ে উড়ে গেল বাঁকুড়ার প্রতিরোধ। বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার সুভাষ সরকারকে ৩৩ হাজার ভোটে পরাজিত করে জয়ী হলেন তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। ভগবানগোলায় বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রিয়াত হোসেন। প্রায় ১৫ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি।

Recent Posts