পাকিস্তান : করোনা পরিস্থিতিতে যখন তোলপাড় গোটা দেশ, ঠিক সেই মুহূর্তেই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল পাকিস্তান সরকার। এমনকি জানানো হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে নেওয়া হবে সব পরীক্ষাও। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এবার ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষায় বসতে আটারি আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে গেলেন প্রায় ২০০ ভারতীয় পড়ুয়া।
সব মিলিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো প্রায় ৩৫৪ জন পড়ুয়ার, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান গেলেন ২০৪ জন। জানা গিয়েছে বাকি থাকা ১০৪ জন পরের বছরই পরীক্ষা দেবেন। করোনা সংক্রমণে বাড়ির অভিভাবকরা চেয়েছিলেন বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পাক সরকার এই পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়ে আর কয়েক মাস পরে নিলেই ভালো হতো। কিন্তু তা না হওয়ায় বাড়ির অমতেই বেশিরভাগ পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে গেছেন পাকিস্তানে।
মার্চ মাসে ভারত এবং পাকিস্তানে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরই সিংহভাগ পড়ুয়া দেশে ফিরে আসেন। করোনা আবহে দেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণেই এদের ফিরে আস্তে হয়েছিলো। এঁরা বেশিরভাগই পাকিস্তানে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছেন, কিন্তু সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনায় হু হু করে বেড়ে চলা মানুষের মৃত্যু প্রত্যেকটি মানুষকেই আতঙ্কিত করে তোলে। অবশেষে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতে এবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নয়েছে পাকিস্তান সরকার।
জম্মু কাশ্মীরের আরও এক বাসিন্দা তাঁর মতে, “অনেক পড়ুয়াই অমৃতসর পৌঁছাতে পারেনি কারণ তাদের কাছে শেষ মুহূর্তে খবর আসে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার এখনও সঠিক সময় নয়। এখনও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। পরিস্থিতি আরও একটু ভালো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত ছিল”।