কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকার বারবার বলেছেন যে লকডাউন মেনে চলতে। জরুরি কোনো কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে একদম বেরোতে না। লকডাউন না মানলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হতে পারে জেল এবং মোটা অংকের জরিমানা। তবুও মানুষ বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন। রাস্তায় একজোট হয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার অলিতে-গলিতে পুলিশ টহলদারি সত্বেও মানুষ জমায়েত করছে, কলকাতার বেশ কিছু অঞ্চলে ফাস্টফুডের দোকান ও খুলেছে। বারবার আর্জি জানিয়েও যখন মানুষ সচেতন হচ্ছে না তখন পুলিশ তার কাজ করেছেন।
সোমবার বিকেলের পর থেকে রাত পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করেছে প্রায় ২৫৫ জনকে। কয়েকদিন আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা প্রত্যেককে ঘরে থাকার জন্য এবং প্রশাসনের সাথে সহযোগিতা করার জন্য আবেদন করেছিলেন। তবুও মানুষের এই অসচেতনতা পুরো সমাজের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে।
উল্লেখ্য, গত দুইদিনে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৫০০-র কাছাকাছি। যার মধ্যে ৪১ জন বিদেশি নাগরিক ও আছেন। গত দুইদিনে ভারতে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত এবার ধীরে ধীরে স্টেজ ৩-র দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যা আরও বেশি ভয়ানক হতে চলেছে।
রাজ্যের বেশ কিছু জেলাতে আবার জমায়েত দেখে পুলিশ লাঠি দিয়ে তাড়া করেছেন। কোথাও আবার শাস্তি স্বরূপ কান ধরে উঠবোস করিয়েছেন পুলিশ। মানুষের অসচেতনার জন্য এবং লকডাউন না মানার জন্য কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে মানুষ সচেতন না হলে ভারতের অবস্থা আরও শোচনীয় ও বেদনাদায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।
255 persons arrested violating Restriction Order & prosecuted u/s 188 IPC. I appeal to all citizens to #StayHome and cooperate with the administration . @KolkataPolice will continue the drive against violators. #CoronavirusPandemic @MamataOfficial pic.twitter.com/XUZrUnYRuY
— CP Kolkata Anuj (@CPKolkata) March 23, 2020