নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৩ আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে তলব, তীব্র বিরোধিতা রাজ্যের

বাংলা সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডার কনভয় হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে বঙ্গ রাজনীতিতে তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব নিয়ে পরিবেশ বেশ সরগরম। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও অন্যান্য বাংলা গেরুয়া শিবিরের…

Avatar

বাংলা সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডার কনভয় হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে বঙ্গ রাজনীতিতে তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব নিয়ে পরিবেশ বেশ সরগরম। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও অন্যান্য বাংলা গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীরা গতকাল ডায়মন্ড হারবারে জনসভায় যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে। তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ইট, পাথর, কাচের বোতলের নিক্ষেপ করে। এর জেরে আহত হন মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ একাধিক বিজেপি নেতাকর্মী। বিজেপির অভিযোগ এই সমস্ত কাজ করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। আর তার জেরেই নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্যের ৩ আইপিএস অফিসারকে ডেকে পাঠালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্যের ৩ আইপিএস অফিসারকে সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে তলব করা হয়েছে। এই তিন আইপিএস অফিসার হলেন ডায়মন্ড হারবারে পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে, দক্ষিণবঙ্গের এডিজি রাজিব মিশ্র এবং প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ ডিআইজি প্রবীণ ত্রিপাঠি। তবে রাজ্য এই তিন আইপিএস অফিসারের সেন্ট্রাল ডেপুটেশনের নির্দেশ মানতে নারাজ। ফলে আবারো শুরু হয়েছে রাজ্য কেন্দ্র সংঘাত। রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রকে স্পষ্ট চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারকে এখন কেন্দ্রে পাঠানো সম্ভব নয়। রাজ্যে আইপিএস ও আইএএস অফিসারের সংখ্যা কম আছে। হঠাৎ করে কেন্দ্র ৩ অফিসারকে রিলিজ করতে বললেই করা যাবে না।

এদিন এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সাংবাদিকদের বলেছেন, “বিধানগুলি বেশ স্পষ্ট। আইএএস বা আইপিএস আধিকারিকদের সংবিধানের ৩১২ অনুচ্ছেদ দ্বারা পরিচালনা করা হয়। তারা নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের নির্দিষ্ট রাজ্যে পদ দেওয়া হয়। তারা রাজ্যের ক্যাডার হয়। ডেপুটেশন দিয়ে তারা কেন্দ্রে যেতে পারে কিন্তু সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনা করতে হয় কেন্দ্রকে। এক্ষেত্রে রাজ্য ওই তিন আইপিএস অফিসারকে এখন ছাড়বে না।”

অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে টলক করেছিল স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে ভাল্লার। তবে এই মুহূর্তে তাদের দিল্লিতে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র সরকারকে তোপ দেগে বলেছেন, রাজ্যের ডিজিও মুখ্য সচিবকে তলব করা হচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে। সবই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অমিত শাহের নির্দেশে কাজ করছে। অন্যদিকে, রাজ্যের ৩ আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনের ডেকে রাজ্য সরকারের পুলিশদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র।