রিলায়েন্স জিও গত বছররের শেষের দিকে তাদের গ্রাহকদের জন্য জিও টু নন-জিও নেটওয়ার্কে ফোন করার জন্য প্রতি মিনিটে 6 পয়সা চার্জ শুরু করে। কিন্তু জিও তাদের বিবৃতিতে এটাও বলেছিল যে, টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই) জিরো IUC নীতি গ্রহণ করলে আর কোনো চার্জ দিতে হবে না।
তবে ট্রাই IUC আরও এক বছর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত জিও থেকে নন জিও কোনো নেটওয়ার্কে করা কলগুলির জন্য ৬ পয়সা করে দিতে হবে। কিন্তু নতুন রিচার্জ প্ল্যানে জিও তাদের গ্রাহকদের IUC চার্জ ধরেই প্ল্যান এনেছে। কিন্তু অনেক জিও গ্রাহকই আছেন যারা এখনো জিওর নতুন প্ল্যান রিচার্জ করেননি, তারা IUC না দিয়েও কিভাবে জিও থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ফোন করবেন দেখে নিন।
আরও পড়ুন : শুরুতেই অফার, ১০০ টাকার নীচে আকর্ষণীয় প্ল্যান আনাল BSNL
১. জিও ব্যবহারকারীরা তাদের নেটওয়ার্কে কল করার পরিবর্তে যদি ওয়াই-ফাই কলিং এর সুবিধা নেন তাহলে তাদের কোনোরকম IUC চার্জ দিতে হবেনা। তবে এই সুবিধাটি ব্যবহার করতে জিও ব্যবহারকারীদের এমন একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হবে যেটিতে এই ফিচার্সটি সাপোর্ট করে।জিও ওয়াই-ফাই কলিং এখন অ্যাপল, কুলপ্যাড, গুগল, ইনফিনিক্স, আইটেল, লাভা, মবিস্টার, মোটোরোলা, স্যামসুং, টেকনো, ভিভো এবং শাওমির মতো ব্র্যান্ডের মোট ১৫০ টি স্মার্টফোনে সমগ্র ভারত জুড়ে উপলব্ধ। তাই দেখে নিন আপনার ফোনটি ওয়াই-ফাই কলিং সাপোর্ট করে কিনা।
২. দ্বিতীয় উপায়টি হল হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং গুগল ডুয়ো’র মতো থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করা। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি মূলত মোবাইল ডেটা ব্যবহার করে, তাই নেটওয়ার্ক কলিং-এর উপর নির্ভর করে থাকতে হবেনা। তবে যাকে আপনি কল করছেন তিনিও একই অ্যাপটি ব্যবহার করছেন কিনা এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
৩. তৃতীয় উপায়টি হলো, একটি হাইয়ার ভ্যালিডিটির প্যাক ব্যবহার করা। জিওর ৫৫৫ টাকার প্ল্যানটি এক্ষেত্রে অনেক উপকারী, যা ৮৪ দিনের ভ্যালিডিটির সাথে ৩০০০ মিনিট জিও টু নন-জিও কলিং এর সুবিধা দেয়। সাথে প্রতিদিন ১.৫ জিবি ডেটা দেয়।