নিউজরাজ্য

আগামী ৩ বছরে রাজ্যে হবে ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থান, দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Advertisement

আগামী তিন বছরে রাজ্যে ৩৫ লক্ষ ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গতকাল নবান্নের একটি ভিডিও কনফারেন্স প্রশাসনিক বৈঠকে একথা জানান। তিনি বলেছেন, রাজ্যে সরকারি চাকরির পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি বাণিজ্য, ছোট ও মাঝারি শিল্প সহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মসংস্থান করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গত ৯ বছরে রাজ্যে মোট ২৯ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীদের চাকরি হয়েছে। যেখানে পুরো দেশে চাকরির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে সেখানে বাংলায় লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতী কাজ পাচ্ছে।

 

আগামী তিন বছরে ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের হিসেবও দিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে ৫ লক্ষ ও কৃষি বাণিজ্য বিভাগে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান হতে পারে। এছাড়া মাটি সৃষ্টি প্রকল্পে ৩ লক্ষ ও হস্তশিল্পে ২ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া বাকি কর্মসংস্থান করা হবে ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলিতে। তার সাথে সরকারি চাকরি পদও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা দিয়েছেন তিনি।

 

মুখ্যমন্ত্রী এই দিনের বৈঠকে স্বনিযুক্তির ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন। তিনি রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের জন্য কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে সহজ শর্তে বাইক কেনার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। সেই বাইকে বক্স লাগিয়ে কেউ ঘুরে ঘুরে শাড়ি বিক্রি করে বা ফল বিক্রি করে তাদের কর্ম সংস্থান করতে পারবে। তিনি বলেছেন এরকমভাবে একটা পরিবারে ৫ জন পেলে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে। এছাড়াও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১ কোটি সদস্যের তহবিলে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া বা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ করে দেওয়ার জন্য সরকার চেষ্টা করবে বলে তার দাবি।

 

অন্যদিকে, শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজিব সিংহ দাবি করেছে আগামী ৬ মাসে রাজ্যে অনেক কর্মসংস্থান হবে। তিনি বলেছেন, রাজ্যের শিল্প তালুকগুলিতে ১৫০০ একর সরকারি জমি পড়ে আছে। সেখানে আগামী কিছু মাসের মধ্যেই ৪-৫ লক্ষ কর্মসংস্থান করা যেতে পারে। তার সাথে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের জেলায় শিল্প আনতে চেষ্টা করতে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের সচিব রাজেশ পান্ডে জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তৈরি করে রাজ্যে প্রায় ৪০ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। যেখানে করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে অনেকের চাকরি চলে গিয়েছিল সেখানে বাংলায় এত সংখ্যক মানুষ চাকরি গেলেও সামান্য কর্মসংস্থান করে পরিবারকে আর্থিক সাবলম্বতা দিতে পেরেছে।

Related Articles

Back to top button