প্রতিদিন ৪১৭ টাকা করে জমালেই পাবেন ২.২৭ কোটি টাকা, জানুন কেন্দ্রের এই জ্যাকপট প্রকল্পের ব্যাপারে বিস্তারিত
মধ্যবিত্ত ভারতীয়রা কম বিনিয়োগে উচ্চ হারে রিটার্ন পাওয়ার জন্য এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন
পাবলিক প্রভিডেন্ট একাউন্ট প্রকল্পে সুরক্ষার পাশাপাশি আপনারা পেয়ে থাকেন দুর্দান্ত রিটার্ন। এদিকে এই প্রকল্পে সুদের হার নিয়ে মাথাব্যথার কোন কারণ নেই কারণ আমানতকারী যেই সুদের হারে আমানত শুরু করবেন পরবর্তীতে মেয়াদ পূর্তির সময় পর্যন্ত সেই একই হারে সুদ পাবেন। মাঝে সুদের হার কমে গেলেও তার ওপর তেমন কোন প্রভাব পড়বে না। দৈনিক ৪১৭ টাকা করে বিনিয়োগ করলে ৩৫ বছরের জন্য এই একাউন্টে আপনি টাকা জমা করতে পারবেন। তাহলে মেয়ার পূর্তির সময় আপনারা পেয়ে যাবেন ২.২৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের ন্যূনতম মেয়াদ ১৫ বছর।
এতে আপনারা ৭.১ শতাংশ হারে বর্তমানে সুদ দেওয়া হচ্ছে। তার পাশাপাশি একাউন্টে আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় কর ছাড়ে সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি প্রতিমাসে ১২৫০০ টাকা করে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনি ১৫ বছরে ২২.৫ লক্ষ টাকা জমিয়ে ফেলতে পারবেন। এর অর্থ আপনি প্রতিদিন ৪১৭ টাকা করে জমাচ্ছেন এবং এই গচ্ছিত অর্থের উপরে আপনি ৭.১ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বার্ষিক সুদ পাচ্ছেন। অর্থাৎ ১৫ বছর পর আপনার একাউন্টে সুদ বাবদ জমা পড়বে ১৮.১৮ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ১৫ বছর পর সর্বমোট আপনার একাউন্টে থাকবে ৪০.৬৮ লক্ষ টাকা।
এরপর যদি আপনি দুইবারে আরো পাঁচ বছর করে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড একাউন্ট এর মেয়াদ বৃদ্ধি করেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে ১.০৩ কোটি টাকা থাকবে এবং সেক্ষেত্রে আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ৩৭.৫০ লক্ষ টাকা এবং সুদ বাবদ আপনি পেয়ে যাবেন ৬৫.৫৮ লক্ষ টাকা। একইভাবে ৩৫ বছর পর আপনার বচ্ছি তো অর্থের পরিমাণ হবে ২.২৭ কোটি টাকা। এতে আপনার অবদান হবে ৫২ লক্ষ ৫০০ টাকা এবং আপনি সুদ পাবেন ১,৭৪,৪৭,৮৫৭ টাকা। জয়েন্ট একাউন্ট না খোলা গেলেও, এই মুহূর্তে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অত্যন্ত লাভজনক একটি প্রকল্প। অপ্রাপ্তবয়স্কদের নামে আপনারা পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে কিন্তু অ্যাকাউন্ট অভিভাবক পরিচালনা করবেন।