ভারতে শেষ হতে চলেছে চতুর্থ দফার লকডাউন, ১লা জুন থেকে ছাড় মিলবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এরফলে আরও ভয়ংকর হতে পারে পরিস্থিতি। এমনটাই জানালেন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সের নিউরোবিরোলজির প্রধান তথা কর্ণাটক হেলথ টাস্ক ফোর্সের নোডাল আধিকারিক ভি রবি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ এখনও সংক্রমণের তীব্রতা টেরই পায়নি। জুনের পর ক্রমাগত বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা। শুরু হয়ে যাবে গোষ্ঠী সংক্রমণও। শুধু তাই নয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি দেশের ৫০ শতাংশ নাগরিকই করোনার কবলে পড়বে। কিন্তু উপসর্গ না থাকার কারণে ৯০ শতাংশ মানুষ বুঝতেই পারবে না যে তাদের শরীরে বাসা বেঁধে রয়েছে এই ভাইরাস।”
যদিও এক্ষেত্রে ৫ শতাংশ রোগীকেই ভেন্টিলেশনে রাখার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও মৃত্যুর হার তুলনামূলক কমই থাকতে পারে। তিনি বারবার সমস্ত রাজ্যকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। তার মতে উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামো, বেশি পরিমাণে টেস্টিং একান্ত প্রয়োজন। সেইজন্য দরকার বেশি সংখ্যায় ল্যাব। সেই কথা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যে কর্ণাটকে আরও ১৫ টি ল্যাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তার কথায় করোনা ভাইরাসটি ইবোলা বা মার্সের মতো অতটা ভয়ংকর নয়। তাই সতর্কতা ও সচেতনতা বজায় রেখে করোনা নিয়েই বাঁচার কথা বলেন তিনি।
অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে দেশের পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপের দিকে এগোচ্ছে। চতুর্থ দফায় লকডাউন শিথিল করার পর আক্রান্তের গ্রাফ দ্রুত উপরের দিকে উঠে চলেছে। এই অবস্থায় যদি আরও ছাড় দেওয়া হয় তবে পরিস্থিতি যে কোনদিকে যাবে তা ধারণারও বাইরে, এমনটাই আশঙ্কা ভি রবির।