কর্ণাটকের সরকারি কর্মচারীরা শীঘ্রই সুখবর পেতে পারেন। কর্ণাটক মন্ত্রিসভা ১ আগস্ট থেকে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিধানসভা অধিবেশনে সাত লক্ষেরও বেশি রাজ্য সরকারি কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ নিয়ে কর্নাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে বলেছেন, ‘সপ্তম বেতন কমিশন মানুষের অন্যতম দাবি ছিল এবং এটি আমাদের ইস্তাহারেও ছিল। আগামীকাল আমরা এটি মন্ত্রিসভায় পেস করেছি। এতে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লক্ষ রাজ্য কর্মচারী উপকৃত হবেন।’
প্রাক্তন মুখ্যসচিব কে সুধাকর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন সপ্তম বেতন কমিশন সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। যার ফলে সরকারি কোষাগারে বার্ষিক ১৭,৪৪০.১৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিদ্দারামাইয়া সরকার যখন বেতন বৃদ্ধির অনুমোদনের জন্য চাপের মধ্যে ছিল তখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কর্ণাটক রাজ্য সরকারী কর্মচারী ইউনিয়ন জানিয়েছে যে তারা আগস্ট মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করবে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই কর্মচারীদের অন্তর্বর্তীকালীন ১৭ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করেছিলেন। সিদ্দারামাইয়া প্রশাসন সম্ভবত ১০.৫ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি করতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে মূল বেতনে ২৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
এর আগে ১৫ জুলাই কর্ণাটক স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (KSRTC ) উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে বাসের ভাড়া ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল। গত তিন মাসে কেএসআরটিসি ২৯৫ কোটি টাকা লোকসান করেছে। কেএসআরটিসি চেয়ারম্যান এসআর শ্রীনিবাস বলেছিলেন যে শেষবার ২০১৯ সালে বাসের টিকিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছিল। তারপর থেকে পাঁচ বছর হয়ে গেল ভাড়ায় কোনও বৃদ্ধি ছাড়াই। তিনি আরও বলেছিলেন যে কেএসআরটিসি কর্মচারীদের বেতন সংশোধন ২০২০ সালে করা হয়েছিল।