পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের চমক দিতে চায় রাজ্য সরকার। আর সেইজন্যই তো বাংলার প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবাকে পৌঁছে দিতে প্রস্তাবিত সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র রূপায়ণের কাজ দ্রুত শুরুর নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, আরআইডিএফ এর টাকায় রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে মোট ৮২৪ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এক একটি ব্লকে একের বেশি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হতে পারে। গত বুধবারই রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব প্রত্যেক জেলাশাসক ও জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়ে এই প্রকল্পের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসলে সম্প্রতি এক প্রশাসনিক বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি ব্লকে ব্লকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরীর ব্যাপারে নির্দেশ দেন। সেই সাথে তিনি এও নিশ্চিত করতে বলেন যাতে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সঙ্গে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। এই নিয়ে তিনি ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে কথা বলেছেন। এবার অর্থ দপ্তরের ছাড়পত্র পেলেই স্বাস্থ্য দপ্তর বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়ে জেলাগুলিতে এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করবে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য এবং নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তর একসঙ্গে জোট বেঁধে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের প্রসবকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কে সরকারি প্রকল্পগুলি রূপায়ণের কাজ চালাচ্ছে। এইসব কেন্দ্র থেকেই চিকিৎসা হচ্ছে আন্ত্রিক,কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির। এর মূল উদ্দেশ্য হলো আশা কর্মী, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অক্সলারী নার্স ও অঙ্গনওয়ারী কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করানো। এরপর রাজ্য সরকারের পরবর্তী ভাবনা ৮২৪ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলে। আসলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেস গ্রামে গ্রামে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করে কিছুটা হলেও জনগণের গুডউইলে আসতে চাইছে।
জানিয়ে রাখি, স্বাস্থ্য দপ্তরের তালিকা অনুযায়ী এই প্রকল্পে একটি জেলায় একটি ব্লকে একাধিক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হবে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এর ১ নম্বর ব্লকে ১৬ টি , দিনহাটা ব্লকে ১০ টি, মগরা ব্লকে ১১ টি, হুগলির খানাকুল ১ নম্বর ব্লকে ৭ টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হবে। এছাড়াও অন্যান্য জায়গায় এই সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরীর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়ে গেছে। আরআইডিএফ খাতে বরাদ্দ অনুমোদন পেলেই রাজ্য সরকার এই কাজ শুরু করে দেবে।