বর্তমানে সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন প্রযোজ্য। দীর্ঘদিন ধরেই অষ্টম বেতন কমিশনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন কর্মীরা। সরকার জানিয়েছে যে তারা অষ্টম বেতন কমিশনের জন্য দুটি প্রস্তাব পেয়েছে। অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের জন্য বাজেটের আগে সরকার দুটি চিঠি পেয়েছে। সরকার বলছে যে বর্তমানে এ জাতীয় কোনও প্রস্তাব বিবেচনাধীন নেই। সরকার সংসদে এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে চলেছে অষ্টম বেতন কমিশন।
রাজ্যসভায় এক লিখিত জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুন মাসে অষ্টম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন গঠনের জন্য দুটি আবেদন জমা পড়েছে। বর্তমানে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন নেই। সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংশোধনের জন্য প্রতি ১০ বছর অন্তর একটি বেতন কমিশন গঠন করে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সপ্তম বেতন কমিশন গঠিত হয়। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এর সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়। একদিকে যখন ফোকাস ধীরে ধীরে অষ্টম বেতন কমিশনের দিকে সরে যাচ্ছে, তখন সপ্তম বেতন কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনের উপর প্রভাব ফেলছে।
মুদ্রাস্ফীতির কারণে তাদের বেতনের প্রকৃত মূল্য হ্রাসের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) প্রদান করা হয় এবং মুদ্রাস্ফীতির হারের ভিত্তিতে প্রতি ছয় মাস সময়ে ডিএর হার সংশোধন করা হয়।
বেতন কমিশন হল ভারতের সরকার নিযুক্ত একটি সংস্থা যা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধার পরিবর্তনের পর্যালোচনা ও সুপারিশ করার জন্য দায়বদ্ধ। মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কাজের ভূমিকা পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সাধারণত প্রতি ১০ বছর পর পর এই কমিশন গঠন করা হয়। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে কর্মীদের প্রত্যাশা ক্রমশ বাড়ছে।