আপনিও যদি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী বা পেনশনভোগী হয়ে থাকেন, তাহলে এই খবরটি কাজে লাগতে পারে। সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ভালো বেতন ও পেনশনের ব্যবস্থা করতে গত এক বছর ধরে অষ্টম বেতন কমিশনের দাবি চলছে। কর্মচারী ইউনিয়নগুলিও এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে। তবে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
২০২৬ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে অষ্টম বেতন কমিশন
কিছু মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে মনে করা হচ্ছে যে অষ্টম বেতন কমিশন ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে প্রস্তুত হতে পারে। প্রতি ১০ বছর অন্তর নতুন বেতন কমিশন গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার। কমিশনের পরামর্শের ভিত্তিতে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন করা হয়। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি কার্যকর হয় সপ্তম বেতন কমিশন। সেই অনুযায়ী ঠিক ১০ বছর পর ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার কথা।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়িয়ে ৩.৬৮ করার দাবি
সরকার যদি ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে এটি বাস্তবায়ন করে, তাহলে এর জন্য একটি কমিশন গঠন করতে হবে। সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন বেতন বাড়ানোর জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বাড়িয়ে ৩.৬৮ করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সরকার তা কমিয়ে ২.৫৭ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সর্বনিম্ন বেতন ৭ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা করা হয়।
আগের তুলনায় বেশি পেনশন
একইভাবে সর্বনিম্ন পেনশন ৩,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার টাকা করা হয়েছে। সর্বোচ্চ বেতন ছিল ২,৫০,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ পেনশন ছিল ১,২৫,০০০ টাকা। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অষ্টম বেতন কমিশনে কর্মীদের বেতন বাড়াতে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর রাখা হতে পারে ১.৯২। এমনটা হলে ন্যূনতম বেতন বেড়ে হবে ৩৪,৫৬০ টাকা। যারা অবসর নিয়েছেন, তারাও আগের তুলনায় বেশি পেনশন পাবেন। তা বেড়ে হতে পারে ১৭,২৮০ টাকা। ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর একটি গণনা যা সরকারী কর্মচারীদের বেতন এবং পেনশন গণনা করতে ব্যবহৃত হয়।