ট্যাংকারের তেল জলে মিশে মারা গেছে ৪০টি ডলফিন, ভয়াবহ সমস্যায় মরিশাসের সমুদ্র
মরিশাস : যত দিন যাচ্ছে ততই ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ, গাছ কাটা থেকে নদীর জল বা দাবানল থেকে প্লাস্টিক আবর্জনা চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশ্ববাসীর। কিছুদিন আগেই মরিশাসের নীল সমুদ্র কালো হওয়া নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে।পরিবেশবিদরা জানায় এর জেরে বহু বিপন্ন প্রজাতির সামদ্রিক প্রাণীর বিলুপ্তিও ঘটতে পারে। জাপানের একটি তেল ট্যাংকারের কারণেই নাকি নীল সমুদ্র এখন কালো বর্ণ ধারণ করেছে ।
১০০০ টন কাঁচা তেল মরিশাসের সমুদ্রে নির্গত হয়েছে আর সেই তেল পরিষ্কার করতে রীতিমতো নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে।শোনা গেছিলো ওই তেল ট্যাংকার মরিশাসের দক্ষিণপূর্ব উপকূলে ফেঁসে আছে আর সেই ট্যাংকার থেকে কাঁচা তেল সমুদ্রে গিয়ে মিশছে। এই ঘটনায় দেশের জন্য বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
তেল থেকে বাঁচানো মুশকিল এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে কারণ ওই ট্যাংকারকে ডুবানর হাত থেকে উদ্ধার করা মুশকিল। আর ট্যাংকার ডুবলে ভয়ানক ক্ষতি হবার আশংকা দেখছে পরিবেশবিদরা। এরফলে মরিশাস পরিবেশগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথ পরিবেশগত এমার্জেন্সি ঘোষণা করেন।কিন্তু এরই মধ্যে সমুদ্রের জলে তেল মিশে প্রায় ৪০টির বেশি ডলফিন মারা গিয়েছে।
একই সঙ্গে মারা গিয়েছে তিনটি তিমি মাছও। এমনকি বিপন্ন হতে বসেছে জলজ উদ্ভিদই প্রবাল প্রাচীরও। মরিশাসের সমুদ্রে উপকূলে অসংখ্য কচ্ছপ, মাছ,কাঁকড়ার দেহ ভাসতে দেখা যায়। চলতি সপ্তাহে মরিশাসের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার স্থানীয়রা দেখতে পান, সৈকতে ভেসে উঠেছে অসংখ্য ডলফিন।