মাথা ভর্তি কালো ঝলমলে লম্বা ঘন চুল থাকলে, একটি নারী যেনো আরো বেশি সুন্দরী হয়ে উঠে। কালো সুন্দর চুলের মহিমায় আলাদা। কিন্তু তার অধিকারী হতে অনেক কষ্টের প্রয়োজন কারণ এর জন্যে নিয়মিত যত্ন ও দেখভালের প্রয়োজন। যা এই ব্যাস্ত জীবনে খুব কষ্টকর হয়ে উঠে। তবু আজ আমরা একটি সহজ উপায়ে সুন্দর চুলের অধিকারী হতে পারেন এমন উপায় নিয়ে এসেছি।
বিশ্বের সকল নারীর স্বপ্ন থাকে সুন্দর চুলের, কিন্তু আজকের ভুল জীবনযাত্রার ফলে কোনো নারীই তার চুলের সঠিক যত্ন নিতে সক্ষম হন না। স্পষ্টতই, এমন পরিস্থিতিতে চুল পড়া নিশ্চিত। কিন্তু সঠিক সময়ে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট দিলে সব ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কিন্তু কথা হলো প্রোটিন অনেক ধরনের হয়। বিশেষত আর্টিফিসিয়াল ও ন্যাচেরাল। আপনি যদি বিউটি পার্লারের দামি প্রোটিন ট্রিটমেন্টে টাকা খরচ না করে ঘরে বসেই চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট দিতে পারেন তাহলে কতই না ভালো হয়। তাই আজ আমরা আপনাদের বলব কিভাবে গরুর দুধ দিয়ে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট দেওয়া যায়।
এই প্রক্রিয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় সামগ্রী:-
১ কাপ গরুর দুধ
১ টেবিল চামচ মধু
১ ভিটামিন-ই ক্যাপসুল
২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি
আসুন এখন জানা জল ব্যাবহারের প্রক্রিয়া:-
১) প্রথমে আপনার চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে 90% প্রাকৃতিকভাবে শুকিয়ে নিন। এর পরে, আপনি চুলে কোনও হেয়ার সিরাম বা তেল লাগাবেন না।
২) এর পর একটি বাটি নিন এবং তাতে দুধ, মধু, ভিটামিন-ই ক্যাপসুল এবং মুলতানি মাটি ইত্যাদি যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট চুলের গোড়া থেকে চুলের শেষ অংশ পর্যন্ত লাগান।
৩) এই মিশ্রণটি চুলে লাগানোর আগে চুলের ছোট ছোট ভাগ তৈরি করুন এবং তারপরে চুলে হালকাভাবে ম্যাসাজ করে এই মিশ্রণটি লাগান।
৪) এরপর চুল ভাঁজ না করে খোলা রেখে এই মিশ্রণটি চুলে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন।
৫) এই মিশ্রণ চুলে শুকিয়ে গেলে সাধারণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। এর পরে আপনার চুল প্রাকৃতিকভাবে শুকাতে দিন। এতে করে আপনার চুল শুকানোর পর চকচকে ও নরম দেখাবে।
৬) মুলতানি মাটি চুলকে কিছুটা শুকিয়ে দেয়, তাই এই হেয়ার প্রোটিন ট্রিটমেন্টের পরে আপনি আপনার চুলে ডিপ অয়েলিং করতে পারেন। দ্বিতীয় দিন আবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৬) মাসে দুবার এই চিকিৎসা করলে খুব ভালো ফল দেখতে পাবেন।
চুলে দুধ লাগানর উপকারীতা কি কি? আসুন জানা যাক:-
১) চুলে দুধ লাগালে তারা প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পায়। এটি চুলের লোমকূপকেও শক্তিশালী করে। চুল পড়ার সমস্যা থাকলে চুলে দুধ ব্যবহার করলে অনেক উপকার হবে।
২) দুধ চুলের কোঁকড়া ভাব কমায়, চুলের জট কম করে এবং ভাঙার প্রবণতা কম করে। শুধু তাই নয়, এটি আপনার চুলকে খুব নরম ও সোজা দেখায়।
৩) অনেক লোক অভিযোগ করে যে তাদের চুলের আয়তনের অভাব রয়েছে, যা তাদের চুলকে সমতল দেখায়। এমন পরিস্থিতিতে গরুর দুধ দিয়ে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট দিলে চুল ঘন দেখায়।
৪) এই উপায়টি অবলম্বন করে, আপনার চুলে প্রাকৃতিক কেরাটিন চিকিত্সাও করা হয়। যে কারণে আপনার চুল কিছুটা হলেও সোজা দেখায়।