আজকের ব্যাস্ত জগতের মানুষের হাতে সময় নেই নিজের যত্নের জন্যে। তাই সঠিক সময়ে খাদ্য, ঘুম ও প্রয়োজনীয় শারীরিক খেয়াল নিতে সক্ষম হন না অনেকেই। আবার কিছু মানুষ এর মাঝেই নিজের খেয়াল রাখতে পারেন যোগ ব্যায়াম, সঠিক ধরনের খাদ্য ও ঠিক পরিণামে ঘুমিয়ে। কিন্তু যাদের যত্ন নেওয়া হয়ে উঠে না তাদের জীবনে সমস্যাও প্রচুর, ত্বকের সমস্যা, পেটের সমস্যা, চোখের নিচে কালি ও চুলের সমস্যায় প্রায়ই ভুগেন তারা। আজ আমরা সহজে ও কম সময়ে চুলের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে এমন উপায় নিয়ে হাজির।
সকলের ব্যস্ত জীবনে আমরা নিজেদের প্রতি পর্যাপ্ত মনোযোগ দিতে পারি না। এই যুগে একজন মহিলার জন্য বাড়ির সকল কাজ করা, পরিবারের সবার তত্ত্বাবধান করে, চাকরির সকল কাজের মাঝে নিজের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না। তবে চুল নিয়ে আমরা সবসময় চিন্তিত থাকি। বেশির ভাগ নারীকেই চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হয়।অন্যদিকে, চুল পাতলা হওয়া এমন একটি অবস্থা যেখানে আপনার মাথার ত্বকের দাগ দেখা যায়। এর জন্যে মহিলাদের সৌন্দর্য্য ক্ষতি হয়। কিন্তু এই সমস্যাটির অনেক কারণ থাকতে পারে।
এই দূষণ ও ভেজালের যুগে চুল পড়া আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর কারণ হতে পারে শরীরের অনেক পুষ্টির অভাব। অন্যদিকে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব হলে দ্রুত চুল পড়া শুরু হয়। বলে রাখি শরীরে জিঙ্কের অভাবের কারণেও চুল পড়া বেড়ে যায়। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় জিঙ্ক সমৃদ্ধ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন। চলুন জেনে নিই চুল পড়ার আসল কারণ এবং তা থেকে মুক্তির উপায়।
চুলের জন্য যা অপরিহার্য তার বিষয়ে বিষধে জানা যাক:-
১) আজকাল অধিকাংশ মহিলাই কম বয়সে চুল পড়া, ভেঙ্গে যাওয়া এবং সাদা হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। চুলকে স্বাস্থ্যকর, নরম ও লম্বা করতে হলে জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। এর জন্য মাশরুম খেতে পারেন। এটি খেলে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়।
২) ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন ডিম খেতে পারেন। ডিমের কুসুম খেলে শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করা যায়। জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি১২, থায়ামিন, ভিটামিন বি৬, ফোলেট এবং ফসফরাসের মতো উপাদান ডিমে পাওয়া যায়।
৩) যদি আমরা শুকনো ফলের কথা বলি, তাহলে কাজুবাদামেও প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক পাওয়া যায়। এছাড়াও কাজুতে রয়েছে কপার, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ এবং ফোলেট যা চুলকে মজবুত করে।
৪) চুলের মজবুতির জন্য আপনি আপনার ডায়েটে সাদা তিল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তিল বীজ চুলের জন্য ভালো। তিলের বীজে জিঙ্ক, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ফলিক অ্যাসিড এবং বি কমপ্লেক্স রয়েছে।
৫) জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন রসুন খেতে পারেন। এটি ভিটামিন এ, বি এবং সি, আয়োডিন, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি সরবরাহ করে। এর পাশাপাশি জিঙ্কের ঘাটতি মেটাতে চিনাবাদাম খাওয়া উচিত। এটি আয়রন, পটাসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবারও সরবরাহ করে।
এই তথ্যের যথার্থতা, সময়োপযোগীতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এটা ভারত বার্তার নৈতিক দায়িত্ব নয়। দয়া করে কোনো প্রতিকার চেষ্টা করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার জন্য অনুরোধ করছি আমরা। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে তথ্য প্রদান করা।