প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এবারে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এবার আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্য তাই কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বুধবার পর্ষদের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে একটি সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকেটেড পরীক্ষার্থীর মধ্যে যারা এলিমেন্টারি এডুকেশনে দু বছরের ডিপ্লোমা পর্যায়ের শিক্ষার্থী, তারাও কিন্তু এবছর আবেদন করতে পারবেন এই পরীক্ষার জন্য। এর পাশাপাশি এলিমেন্টারি এডুকেশনে যারা চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রী পর্যায়ের পড়ুয়া রয়েছেন, তারা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল। সেই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, ওই দুই পর্যায়ে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রীধারিরা আবেদনের যোগ্য। এছাড়া আরসিআই স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে যারা দু’বছরের ডিএড কোর্স বা এনসিটিই স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠানে দু বছরের ডিএলএড কোর্সের চূড়ান্ত দফার পরীক্ষা দিয়েছেন তারাও প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পর্ষদের এই নতুন নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা সমিতির নেতা স্বপন মন্ডল বলছেন, ২৯ তারিখ নোটিশ দিয়ে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই আবার সিদ্ধান্ত বদল করতে হলো! জানিনা এইভাবে আর কতবার সিদ্ধান্ত বদল করা হবে। বিকাশ ভবনের চিন্তাভাবনায় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। তবে পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অশোক রুদ্র।