চলতি মাসে ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে দুর্গাপূজা এবং লক্ষ্মী পূজা। দুই উৎসবের সময়তেই বাংলা ভিজেছে বৃষ্টিতে। এবার আগামী সপ্তাহে রয়েছে আলোর উৎসব, কালীপুজো। তবে এই কালীপুজোর সময় বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহবিদরা। সেই জন্যই আগে থাকতে সতর্ক হতে চাইছে নবান্ন। কালীপুজোর প্যান্ডেলগুলির পরিকাঠামো পোক্ত করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে একাধিক বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। জেলাশাসকরা সরাসরি সেইসব বিষয়ে নজর রাখবেন।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে যে বর্তমানে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ৪৮ ঘন্টায় এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে এবং এটি নিম্নচাপে পরিণত হয় পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করবে। আগামী ২২ তারিখ সকাল পর্যন্ত এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা নাগাদ এটি পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। এর ফলে কালী পুজোতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ঠিক কোন দিকে হবে সেই সম্বন্ধে এখনও বিস্তারিত কোনো তথ্য নির্ধারণ করা যায়নি।
তবে আগেভাগেই সতর্কতা নেওয়ার পথে হেটেছে নবান্ন। উৎসবের মরশুমে আগে থাকতেই বিপর্যয় মোকাবিলা তৈরি করে রাখতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন দক্ষিণবঙ্গের জেলাশাসকদের প্রতিনিয়ত বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলাকে। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাগুলিকে আগে থাকতে সব রকমের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।