পোস্ট অফিসের এই দুর্দান্ত প্রকল্পে করে ফেলুন ১৬ লক্ষ টাকা আয়, জানুন কিভাবে
আপনি যদি পোস্ট অফিসের প্রকল্প গ্রহণে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে খুব সহজেই আপনি পোস্ট অফিসে একটি রেকারিং ডিপোজিট চালু করতে পারেন
আপনি যদি দীপাবলি উপলক্ষে নিরাপদ বিনিয়োগের কথা ভাবেন তবে আপনার জন্য পোস্ট অফিসের এই প্রকল্পটি হয়ে উঠতে চলেছে একেবারে রামবান। পোস্ট অফিস তার গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প চালিয়ে থাকে। প্রতিটি আয় গোষ্ঠীর জন্য তাদের আলাদা আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। পোস্ট অফিসের এই সমস্ত স্কিমে ভালো রিটার্নসহ বিনিয়োগকারীদের অর্থ নিরাপদ থাকে। এই কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ ইন্ডিয়া পোস্টের এই সমস্ত স্কিমে বিনিয়োগ করে থাকেন। অনেক পোস্ট অফিস স্কিম এই মুহূর্তে বেশ জনপ্রিয়। তবে এর মধ্যেই একটি অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যান হলো রেকারিং ডিপোজিট স্কিম। এতে আপনি মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করে প্রতি মাসে একটা মোটা টাকা রোজগার করতে পারবেন।
রেকারিং ডিপোজিট পোস্ট অফিসের একটি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প যেখানে আপনি যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেন তা অত্যন্ত নিরাপদে থাকে। আপনারা এই মুহূর্তে এই পোস্ট অফিস প্রকল্পে ৫.৮% হারে সুদ পাচ্ছেন। এই সুদের হার ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে প্রযোজ্য হতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি তিন মাসে তার সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হার নির্ধারণ করে থাকে। আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী এক বছর দুই বছর বা তার বেশি মেয়াদের জন্য এটি রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্প শুরু করতে পারেন আপনার কাছের পোস্ট অফিসে। এতে আপনি প্রতি তিন মাসে বিনিয়োগ করা পরিমাণ এর উপরে সুদ পেয়ে যাবেন। প্রতি তিন মাস অন্তর চক্রবৃদ্ধি সুদের সঙ্গে মোট সুদের পরিমাণ আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে। পোস্ট অফিসে গিয়ে যে কেউ এই প্রকল্প অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। আপনি যদি এই প্রকল্পের দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনি নিজের জন্য একটা বিশাল পরিমাণ অর্থ জমা করে ফেলতে পারবেন।
আপনি যদি রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্পে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে ১০ বছর পরে আপনি ১৬ লক্ষ টাকার বেশি পেয়ে যাচ্ছেন। আপনি যদি প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে জমা করেন তাহলে এক বছরে আপনার জমা হবে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা। একইভাবে আপনাকে এই প্রকল্পে ১০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। এইভাবে আপনি যদি বিনিয়োগ করেন তাহলে ১২ লক্ষ টাকা জমা করতে পারবেন আপনি। এরপরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবার পর রিটার্ন হিসেবে আপনি ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭৬ টাকা পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ, দশ বছর পরে আপনি ১৬ লক্ষ টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।