প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা অধীনে সরকার কৃষকদের একাউন্টে বার্ষিক ৬,০০০ টাকা অর্থাৎ ২০০০ টাকার তিনটি কিস্তি পাঠিয়ে থাকে। কিন্তু এবারে এই পরিকল্পনায় বেশ কিছু পরিবর্তে নিয়ে আসতে চলেছে সরকার। পরিকল্পনা থেকে শুরু করে অনেক নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। আবেদন সংক্রান্তএবং যোগ্যতা সংক্রান্ত বিভিন্ন নতুন নিয়মের কারণে এখন প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা হয়ে গিয়েছে অনেকটাই পরিবর্তিত। আবার তার সাথেই অনেকেই বলছেন, এখন নাকি এই প্রকল্পে স্বামী স্ত্রী দুজনেই প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার সুবিধা পেতে পারেন। কিন্তু আদৌ কি এরকম নিয়ম চালু করেছে সরকার? আসুন জানা যাক বিস্তারে।
প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা অনুসারে, স্বামী স্ত্রী দুজনেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার সুবিধা একসাথে নিতে পারেন না। যদি কেউ এরকম করেন তাহলে তাকে জাল হিসেবে চিহ্নিত করে তার থেকে সমস্ত টাকা উসুল করবে ভারত সরকার। পাশাপাশি, একটি নতুন নিয়ম জারি করে ভারত সরকার স্পষ্টভাবে সকলকে জানিয়ে দিতে চাইছে, এই প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা কিন্তু সকলের জন্য নয়। এই যোজনার একটা নির্দিষ্ট প্রাবধান আছে এবং কেবলমাত্র যাদের জন্য এই যোজনা তৈরি তারাই এই সুবিধা নিতে পারবেন।
যদি কোন অপাত্র ব্যক্তি এই যোজনার সুবিধা গ্রহণ করেন তাহলে তাকে সরকারের সমস্ত টাকার কিস্তি ফেরত দিতে হবে। এই যোজনা অনুযায়ী, যদি কোন কৃষকের পরিবার কোন ট্যাক্স দেয়, তাহলে তিনি কিন্তু এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন না। অর্থাৎ, যদি স্বামী অথবা স্ত্রী যে কেউ গত বছরের ইনকাম ট্যাক্স যদি ফাইল করে থাকেন তাহলে তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন না। পাশাপাশি শুধুমাত্র এমন মানুষদের জন্যই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে যারা কিনা কৃষি কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। যদি এমন কোন মানুষ, যিনি কৃষি কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন, তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করেন তাহলে তাকে সরাসরি বাতিল করা হবে।
এছাড়াও আরো অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন। সরকারি কর্মচারী, প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী, বর্তমান অথবা প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক অথবা মন্ত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। এছাড়াও প্রফেশনাল রেজিস্টার্ড ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, চার্টার্ড একাউন্টেন্ট এবং এর পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারছেন না। পাশাপাশি যারা ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে থাকেন তারাও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন না। তবে যদি এমন কোন ব্যক্তি থাকেন যিনি চাষের সঙ্গে সরাসরি ভাবে যুক্ত, তবে তিনি যে জমিতে চাষ করেন সেটি তার নামে না হয়ে তার বাবা অথবা তার ঠাকুরদার নামে রয়েছে, তাহলে তিনিও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন এবং সরকারের তরফ থেকে টাকা পাবেন।