বয়স বারা একটি প্রাকৃতিক নিয়ম। আর এর সাথে আমাদের ত্বক নিজের সতেজতা, কোমলতা কমে আসে। অনেক নতুন সমস্যা দেখা দেয় বয়স্ক ত্বকে। শুষ্কতা, ফাইন লাইনস, রিংকেলস, ব্রন ও ডার্ক সার্কেলের মতন অনেক ধরনের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হয়। তাই আমরা এইসবের থেকে রক্ষা করতে পারে এমন উপায় নিয়ে হাজির।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে দূষণ, চিন্তা এবং অনিয়মের অনেক প্রভাব দেখা যায়। ফ্রেকলেস ছাড়াও অন্য কারণে মুখে দাগ পড়লেই সব সৌন্দর্য কমে যায়। তাই কখনো আপনাকে আপনার বয়সের চেয়ে বড় দেখাতে শুরু করেন। স্পষ্টতই, আপনি এই ফ্রেকলেসকে প্রতিরোধ করতে পারবেন না, কিন্তু আপনি কিছু পরিমাণে তাদের প্রভাব কমাতে পারেন।
এর হাত থেকে নিজের ত্বককে রক্ষা করতে যা করণীয় দেখে নিন:-
১) প্রথম ধাপ:-
প্রথমে আপনি জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন এবং তারপরে এক টুকরো তুলো কাঁচা দুধে ডুবিয়ে রাখুন এবং এটি নিয়ে মুখে ঘষুন ও মুখ পরিষ্কার করুন। এটা নিয়মিত করলে খুব ভালো ফল পাবেন।
২) দ্বিতীয় ধাপ:-
এক চা চামচ বেসন এর মধ্যে ১ চা চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগান। 10 থেকে 15 মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণে ১ চিমটি হলুদও মেশাতে পারেন। এতে করে মুখের মরা চামড়া পরিষ্কার হয় এবং ফ্রেকলের প্রভাবও মুখে কম দেখা যায়।
৩) তৃতীয় ধাপ:-
এবার একটি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল পাংচার করার পর সাধারণ জলেতে রেখে ৫ মিনিট ভাপ নিন। সপ্তাহে একবার এটি করলে ত্বকের জমে থাকা ছিদ্রগুলো পরিষ্কার হয়ে যায় এবং ত্বক পরিষ্কার হয়।
৪) চতুর্থ ধাপ:-
সবশেষে, আপনার মুখের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে এবং হালকা ফেসিয়াল ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।
এই সব ধাপের ত্বকের জন্য উপকারিতা জানুন ও নিয়মিত প্রয়োগ করে সুন্দর ত্বকের অধিকারী হন:-
১) কাঁচা দুধ মুখে লাগালে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে এবং ত্বক ফর্সা হয়।
২) কাঁচা দুধ দিয়ে ত্বকে ঘরোয়া প্রতিকার করলে ত্বকের কালো দাগও কমে যায়।
৩) ত্বক খুব তৈলাক্ত হলে কাঁচা দুধের পরিবর্তে ফুটনো পর দুধ ব্যবহার করা উচিত।
৪) কাঁচা দুধের নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের কোষকে শক্তিশালী করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের উন্নতিও করে।
৫) ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য আপনি কাঁচা দুধও ব্যবহার করতে পারেন।