ডিজিটাল দুনিয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে আজকাল প্রায় সকলেই কোনো না কোনো ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা সঞ্চয় করে রাখেন। ভবিষ্যতের জন্য আজকাল টাকা সঞ্চয় করে রাখা অবশ্যই উচিত। সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশিও যেসব ব্যাংকের সুদের হার বেশি, সেইসব ব্যাংকে মানুষ বেশি অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন। এক কথায় বলতে গেলে গ্রাহকদের জন্য এখন ব্যাংক পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এবার আরবিআইয়ের এক সিদ্ধান্তের জন্য বড়সড় দুঃসংবাদ পেতে চলেছেন এক ব্যাংকের গ্রাহকরা। ঘটনাটি কি জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।
আসলে আরবিআই মাঝে মাঝেই বিভিন্ন নির্দেশিকা জারি করে যা মেনে চলতে হয় দেশের সমস্ত ব্যাঙ্ককে। এখনও পর্যন্ত একাধিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করেছে আরবিআই। সেই ধারা বজায় রেখেই সম্প্রতি এই কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আবারো একটি ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার ওই ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের টাকা জমা বা তুলতে পারবেন না। এছাড়াও গ্রাহকরা ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোনো আর্থিক লেনদেনও করতে পারবেন না। কোন ব্যাঙ্ক বন্ধ হল? জানতে প্রতিবেদনের শেষ অংশটি অবশ্যই পড়ুন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক RBI মহারাষ্ট্রের লক্ষ্মী কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করেছে। ব্যাঙ্কের কাছে পর্যাপ্ত মূলধন এবং উপার্জনের কোনো উপায় না থাকায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ব্যাঙ্ক ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৯-এর ধারা 56-এর সাথে পঠিত ধারা 11(1) এবং ধারা 22(3)(d) এর বিধানগুলি মেনে চলে না৷ ব্যাঙ্কগুলি ধারা 22(3)(a), 22(3)(b), 22(3)(c), 22(3)(d) এবং 22(3)(e) এর প্রয়োজনীয়তাগুলি মেনে চলতে না পারায় লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। গ্রাহকদের প্রসঙ্গ নিয়ে RBI প্রেস বৈঠকে বলেছে, “প্রতিটি আমানতকারী আমানত বীমা এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (DICGC) DICGC আইন, ১৯৬১ অনুসারে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা বীমা দাবির পরিমাণ পাওয়ার অধিকারী হবেন”। কিন্তু সমস্যা হল যে, আপনি যদি এই ব্যাঙ্কে এর চেয়ে বেশি টাকা রেখেও থাকেন, তাহলে ৫ লাখের বেশি টাকা আপনি পাবেন না।