শীত কালে আমাদের ত্বক নিজের আদ্রতা হারিয়ে ফেলে ও ধীরে ধীরে শুষ্ক দেখাতে শুরু করে। আমরা যদি সময় থাকতে এর প্রতিকারের ব্যবস্থা না গ্রহণ করি এই ত্বকের শুষ্কতা ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে যেমন ত্বক ফেটে যাওয়া ও ঘায়ের সৃষ্টি হওয়া। আমাদের সমস্ত ত্বকের থেকে কোমল ত্বক হচ্ছে ঠোঁটের ত্বক তাই শীত শুরু হওয়ার আগে থেকেই এটি ফাটতে শুরু করে।
এখন নভেম্বরের মাঝারি সময় এবং শীত ঠিক পড়তে শুরু করেছে। শীতকালে অনেক মানুষই ঠোঁট ফাটা ও শুকনো হওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। এবং তারা এই সমস্যা এড়াতে মানুষ প্রায়ই লিপবাম বা ক্রিম লাগান। এটি শুধু কিছু সময় ঠিক রাখে ঠোঁট কিন্তু প্রতিকার হিসেবে ব্যার্থ। কারণ এইসবের ঠোঁট ফাটা রোদ করায় কোনো প্রভাব নেই। আসলে ঠোঁটের ত্বক খুবই সংবেদনশীল, যার কারণে ঠোঁটের যত্ন না নিলে শীতকালে তা ফাটতে শুরু করে। এ ছাড়া শরীরে জলশূন্যতা ও ভিটামিনের অভাবের কারণেও ঠোঁট ফেটে যেতে শুরু করে। ফাটা ঠোঁট দেখতে বাজে ও আপনার সৌন্দর্য্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি ফাটা ঠোঁটের সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি এমন সহজ ঘরওয়া উপায়ে আপনি আপনার ঠোঁটের যত্নের নিতে পারেন।
দেখুন শুষ্ক ঠোঁট থেকে মুক্তি পাওয়ার এই সকল উপায়গুলো-
১) গোলাপের সাহায্য নিন:-
গোলাপ একটি বিশেষ আকর্ষণীয় ফুল। শীতে ঠোঁট গোলাপি ও মসৃণ রাখতে চাইলে গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ফাটা ঠোঁটের সমস্যা সমাধান করতে পারে। এটি আপনার ঠোঁটকে গোলাপী করে তুলতে পারে। এটি লাগানোর জন্য গোলাপের পাপড়ি নিয়ে গরম জ্বলে ভিজিয়ে এই জল ভালো করে ঘষে নিন ঠোঁটে। এটি করলে আপনার ঠোঁট প্রাকৃতিক উপায়ে গোলাপি হবে। এর সাথে সাথে ঠোঁটের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
২) ডালিম ঠোঁটকে করবে গোলাপি-
শীতে ঠোঁটকে ফাটার হাত থেকে বাঁচাতে ডালিম ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহার করতে, এক চামচ ডালিমের রস নিন, তারপরে সামান্য গাজরের রস যোগ করুন এবং আপনার ঠোঁটে লাগিয়ে দিন। এতে আপনার ঠোঁট কোমল, মসৃণ ও গোলাপি হয়ে যাবে।
৩) বাদাম তেল-
ঠোঁটকে কোমল রাখতেও বাদামের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। শীতকালে এটি লাগানোর সবচেয়ে ভালো উপায়, এক চামচ বাদাম তেল নিন, এতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এটি আপনার ঠোঁটকে শুষ্কতার থেকে রক্ষা করবে।
এই তথ্যের যথার্থতা, সময়োপযোগীতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এটা ভারত বার্তার নৈতিক দায়িত্ব নয়। দয়া করে কোনো প্রতিকার চেষ্টা করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার জন্য অনুরোধ করছি আমরা। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে তথ্য প্রদান করা।