পিছিয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের ডিএ মামলার শুনানি। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। আজ শীর্ষ আদালতে ৭ নম্বর কোর্টে মামলাটি লিস্ট করা ছিল। তবে আজকে সেই মামলা শুনানি হয়নি। পরিবর্তে আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হবে। আজ বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং ঋষিকেশ রায় জানিয়েছেন, অতি উৎসাহের বসে কিছু কর্মচারীরা যা বলেছেন, তা ঠিক দেখছে না সুপ্রিম কোর্ট। কর্মচারীদের পক্ষে সাওয়ালকারী আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সময় চেয়ে নিয়েছেন আদালতের কাছ থেকে। বিকাশ বাবু বলেছেন, যদি কর্মচারীরা এমন কিছু বলে থাকেন যা আদালতে নজরে ঠিক নয়, তাহলে আদালতের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
এরপরই শীর্ষ আদালতে তরফে জানানো হয়েছে, ডিএ আপনার পরবর্তী শুনানি জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হবে। তবে নির্দিষ্ট কোন তারিখ এখনো পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি। এর আগে মহার্ঘ ভাতা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বেঞ্চ বদল করা হয়েছিল। তবে দুই বাঙালি বিচারপতি আজ এই মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে রাজ্য সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতে যে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, সেই মামলা শুনেছিল বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি ঋষিকেশ রায়ের বেঞ্চ। গত ২৮ নভেম্বর এবং ৫ ডিসেম্বর ওই বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর যখন ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল, তখন শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সব পক্ষকে লিখিত আকারে সংক্ষিপ্তভাবে নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে হবে। সেই সঙ্গে আপাতত কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতের অবমাননার মামলার শুনানি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে ডিএ মামলা চলছে। নিজেদের হকের দাবি চেয়ে কখনো হাইকোর্টে আবার কখনো সুপ্রিম কোর্টে ঘুরছেন সরকারি কর্মচারীরা। চলতি বছরের ২০ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। যে সময়সীমার মধ্যে বকেয়া মেটানোর পথে হাঁটেনি রাজ্য সরকার। বিপরীতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর সেটাও খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।