খুব সম্প্রতি নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ২৮’তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে। এদিন স্টেডিয়ামে বসেছিল তারাদের হাট। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, শত্রুগ্ন সিনহা, রানি মুখার্জ্জী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, সাহেব চ্যাটার্জী, রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গাঙ্গুলী, মিমি চক্রবর্তী, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, মিথিলা, অরিজিৎ সিং সহ ওপার বাংলার চঞ্চল চৌধুরীর মতো একাধিক নামিদামি তারকাদের।
এদিন মঞ্চে রানি মুখার্জ্জী ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে একে অপরের সাথে নিজেদের পুরনো সম্পর্ককে ঝালিয়ে নিতেও দেখা গিয়েছে। অভিনেত্রী ‘বিয়ের ফুল’ ছবিতে টলিউডের বুম্বাদার বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমেই নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। এদিন উদ্বোধনী মঞ্চে একে অপরের সাথে ভালো সময়ও কাটিয়েছেন তারা। অভিনেতাকে নিজের মেয়ে আদিরার ছবিও দেখিয়েছেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে মিশুকের খবরা-খবরও নিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিন শাহরুখ খানের সাথে মিশুককে বেশ বার্তালাপ করতে দেখা গিয়েছে। এসআরকের সাথে তার সেই ছবি এখন রীতিমতো ভাইরাল।
তবে রানি মুখার্জ্জীকে দীর্ঘদিন ধরেই চেনেন বুম্বাদা। অভিনয় জগতে আসার আগে থেকেই পরিচয় তাদের। তবে এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়েই একটি মজার গল্প ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সাথে, যা শুনে হাসি ফুটে উঠেছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠোঁটেও।
অভিনেতার কথা অনুযায়ী, ছোটবেলায় তাদের বাড়িতে আসতেন অভিনেত্রী। অভিনেতার মা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে তার বিয়ের ছবি দেখাতেন তাকে। আর তখনই তিনি বলতেন তিনি বড় হয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করবেন। সেইসময় অভিনেতার মা অভিনেত্রীকে বলতেন তিনি যখন বড় হবেন তখন প্রসেনজিৎ বুড়ো হয়ে যাবে। এর উত্তরে অভিনেত্রী চুলে রঙ করে নেওয়ার কথাও বলতেন। অভিনেতার মুখে এই মজার গল্প শুনে এদিন উপস্থিত সকলেই হেসে উঠেছিলেন। অবশ্য এই গল্পের মাধ্যমে তিনি এটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন যে তিনি ঠিক কতটা ছোট বয়স থেকে রানি মুখার্জ্জীকে চেনেন।
পাশাপাশি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মিডিয়াকে অভিনেতা জানিয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রির সকলের সাথেই তার সম্পর্কগুলো রয়ে গিয়েছে। তিনি সেই সম্পর্কগুলোকে কখনোই বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেননি। তিনি এও জানিয়েছেন, সকলের মাঝে থেকেও অমিতাভ বচ্চন তাকে বুম্বা বলেই ডাকেন। অন্যদিকে তাকে অনেকদিন পর দেখে জড়িয়ে ধরে ছেলের মতোন সোহাগও করেছেন জয়া বচ্চন। পাশাপাশি চঞ্চল চৌধুরীর সাথেও তার সম্পর্ক অনেকদিনের। তার উল্লেখ অবশ্য নিষ্প্রয়োজন। এদিন নেতাজি ইনডোরে যে চাঁদের হাট বসেছিল, তা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখছে না। তবে ইন্ডাস্ট্রির সকলের সাথে এই দীর্ঘ সম্পর্ক তৈরি হওয়ার কৃতিত্বর বেশিরভাগটাই বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়েছেন অভিনেতা।