যারা দামি এলপিজি সিলিন্ডারের জন্য যন্ত্রণার সম্মুখীন হচ্ছেন, তারা নতুন বছরে একটি বড় স্বস্তি পেতে পারেন। চলতি বছরের জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। কিন্তু, ভারতে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম তখন থেকে ১০৫৬ টাকাই রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে আশা করা হচ্ছে নতুন বছরে এলপিজির দামে বড় ধরনের ছাড় ঘোষণা করতে পারে সরকার। এমনটা হলে নতুন বছরের শুরুতে এই খবরটি হবে মানুষের জন্য খুবই স্বস্তির।
জুলাই ২০২২ এর পরে দামে কোন পরিবর্তন নেই
জানিয়ে রাখি, ভারতে তার প্রয়োজন অনুসারে পর্যাপ্ত তেল এবং গ্যাস উত্পাদন নেই। এমতাবস্থায় ভারতকে তেলের জন্য সম্পূর্ণভাবে বিদেশের সরবরাহের উপরেই নির্ভর করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দামের ওঠানামার কারণে ভারতেও তেল ও গ্যাসের দাম বাড়তে থাকে। সরকার তেল ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের অধিকার সরকারি কোম্পানিগুলোকে দিয়েছে। এই সংস্থাগুলি ৬ জুলাই, ২০২২ থেকে এলপিজির দামে কোনও পরিবর্তন করেনি। একই সময়ে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেল ও গ্যাসের দাম ৩০ শতাংশ কমেছে। অর্থাৎ কোম্পানিগুলো খুব সস্তায় তেল-গ্যাস কিনছে এবং বেশি দামে মানুষের কাছে বিক্রি করছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে
২০২২ সালের অক্টোবরে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৫ ডলার ছিল। সেই সময়ে, দেশে এলপিজি সিলিন্ডার পাওয়া যেত ৮৯৯ টাকায়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এ দাম প্রায় দেড়শ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এখন ব্যারেল প্রতি ৮৩ ডলারে নেমে এসেছে। অর্থাৎ ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে তেলের দামও কমেছে। সেই অনুযায়ী, মনে করা হচ্ছে নতুন বছরে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমানোর ঘোষণা দিতে পারে সরকার।
রাজস্থান সরকারের বাজি চাপ বাড়াল
আগামী বছর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বড় বাজি খেলেছে অশোক গেহলট সরকার। সিএম অশোক গেহলট ঘোষণা করেছেন যে ১ এপ্রিল, ২০২৩ থেকে, রাজস্থানে ৫০০ টাকায় গার্হস্থ্য গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যাবে। যদিও জয়পুরে LPG সিলিন্ডারের বর্তমান দাম চলছে ১০৫৬ টাকা। অর্থাৎ, আগামী বছর অর্ধেকেরও কম দামে এলপিজি সিলিন্ডার মানুষের কাছে উপলব্ধ করবে গেহলট সরকার। রাজস্থান সরকারের এই বাজির ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর এলপিজির দাম কমানোর চাপ বেড়েছে।