প্রতিটি মানুষের কাছেই তার চুল ভীষণ প্রিয়। যেকোনো ধরনের সাজের সাথেই সকলেই চান নতুন করে নিজেদের চুলকেও সাজাতে। তবে বিভিন্ন সময় চুলে নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যার ফলস্বরপ অনেকসময় অকালে চুল পড়ে যায় কিংবা চুল সাদা হয়ে যেতে থাকে। বলাই বাহুল্য, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই ধরনের সমস্যা বেশিরভাগই সহ্য করে থাকেন। তবে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা রয়েছে, সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে প্রয়োগ করতে পারলেই মিলবে এই সমস্যার সমাধান। জানুন বিস্তারিত।
আমরা প্রতিদিন যে সমস্ত জিনিস ব্যবহার করে থাকি সেগুলি দিয়েই অকালে চুল পড়ে যাওয়া কিংবা অসময়ে সাদা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। চাল, জল ও চা’ই চুলের এই দুই মূল সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। রইল উপায়-
১) চাল: সাধারণত খাদ্যদ্রব্য বানানোর কাজেই আমরা চাল ব্যাবহার করে থাকি। ভাত ছাড়া বেশিরভাগেরই দিন চলে না। আর সেই ভাতের জল কিংবা ফ্যান মানুষের চুলের পক্ষে উপকারী। এই কথা জানেন না অনেকেই। চালে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা চুলের গ্রোথের পক্ষে কার্যকরী।
একটি পাত্রে ৩ কাপ জল নিয়ে তার মধ্যে হাফ কাপ চাল দিয়ে সেটি ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই ভাতের জল বা ফ্যান ভালো করে ছেঁকে নিয়ে সেটিকে ঠান্ডা করে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে সেটি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। তারপর পরিষ্কার জল দিয়েও ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে চুল। মাঝে মাঝে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে চুলের সাধারণ গ্রোথ ও উজ্জ্বলতা বাড়ে অনেকগুণ।
২) চা: চা খান না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। তবে এই চা চুলের জন্য খুবই উপকারী, একথা জানেন না অনেকেই। সাধারণত এটি চুলের বৃদ্ধিতে অধিক কার্যকরী। পাশাপাশি চুলের রঙ ও উজ্জ্বলতা দীর্ঘদিন ধরে রাখতেও সহায়তা করে।
একটি পাত্রে জল নিয়ে তার মধ্যে ৩ চা চামচ চা দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। অবশ্য এক্ষেত্রে চা পাতার বদলে টিব্যাগও ব্যাবহার করা যেতে পারে। চা পাতা ব্যাবহার করলে সেটি ভালো করে ছেঁকে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর সেটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পরিষ্কার জল দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এটি যদি সপ্তাহে একবার বা দুবার প্রয়োগ করা যায় তাহলে ফল পাবেন হাতেনাতে। আগের থেকে বাড়বে চুলে সাধারণ গ্রোথ। পাশাপাশি মিলবে ঘনও কালো চুলও।