নতুন করে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট অমিক্রন বিএফ ৭। ইতিমধ্যেই চিনে অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন এই ভেরিয়েন্টের মাধ্যমে এবং এই মুহূর্তে চীন ছাড়াও ভারতে এই উপরূপের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। গুজরাট এবং উড়িষ্যার বাসিন্দা আক্রান্তরা। করোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নতুন করে সতর্কবাণী শুনিয়েছেন। বুধবার কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাকা বৈঠকে বলা হয়েছে, দেশে করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তা সত্ত্বেও করোনা পরিস্থিতির দিকে প্রতিনিয়ত নজর রাখা কিন্তু প্রয়োজন। নতুন আক্রান্ত নতুন প্রজাতি এবং ভাইরাসের প্রকৃতির দিকে বাড়তি নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
গবেষকরা জানাচ্ছেন এই ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আর RTPCR পরীক্ষাতেও সনাক্ত করা সম্ভব নয়। সেই কারণে এখনো যারা করো না টিকা গ্রহণ করেননি তাদের কিন্তু এই নতুন করো নাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও যারা ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ অথবা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা। তবে যদি ঠান্ডা লাগা ভেবে করোনাকে এড়িয়ে যান তাহলে কিন্তু আপনি বড় ভুল করবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই নতুন ভাইরাসের উপসর্গ কি কি।
করোনার বাকি উপসর্গের সঙ্গে এর কোনো বিশেষ বৈসাদৃশ্য কিন্তু নেই। জ্বর সর্দি কাশি গলা ব্যাথার শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থাকছে এই তালিকায়। এছাড়াও মাথাব্যথা পেট ব্যথা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথার মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই ভাইরাসের সংক্রামিত কোন ব্যক্তি একইসঙ্গে ১০ থেকে ১৮ জনের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন। সব থেকে চিন্তার ব্যাপারটা হলো সব সময় যে উপসর্গ দেখা দেবে তার কোন মানে নেই। নিরবে এসে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে এই উপসর্গ। তাই সাবধানে থাকা অত্যন্ত জরুরি। নতুন করে মাস্ক পরার অভ্যাস শুরু করা উচিত। ভিড় মেট্রো বাস অথবা ট্রেনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অতি মারির সময় যে সমস্ত সুরক্ষা গ্রহণ করতে হতো সেই সমস্ত সুরক্ষা আবার গ্রহণ করতে হবে। টিকা নেওয়া না থাকলে অতিসত্বর টিকা গ্রহণ করতে হবে। বাড়ির বয়স্ক এবং ক্ষুদে সদস্যদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।