প্রথমবারের জন্য ভারতীয় রেলে এসেছে সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত ট্রেন। বলতে গেলে এটি দেশের মধ্যে সপ্তম বন্দে ভারত ট্রেন। পূর্ব ভারতের একমাত্র বন্দে ভারত ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গ পাওয়ায় ইতিমধ্যেই কলকাতার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। হাওড়া থেকে ছাড়া এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৬ দিন চলবে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই ট্রেনের টিকিট বুকিং। শুক্রবার সকাল আটটা থেকে টিকিট বুকিং চালু হওয়ায় ১ জানুয়ারি অর্থাৎ বছরের প্রথম দিন টিকিট বুকিং করে ফেলেছেন অনেকেই। এতদিন নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার জন্য শতাব্দী এক্সপ্রেস ছিল সব থেকে প্রিমিয়াম ট্রেন। তবে এবারে শতাব্দীকে টেক্কা দিল বন্দে ভারত। এই ট্রেনের ফিচার যেমন শতাব্দী থেকে বেশি, ভাড়া তেমনি অনেকটাই বেশি।
কিন্তু বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং শতাব্দী এক্সপ্রেস এর ভাড়া পার্থক্য কত টাকা? Irctc প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী শতাব্দী এক্সপ্রেসের এসি চেয়ারকারের ভাড়া ১৬৪৫ টাকা। এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারের ভাড়া ২৫০৫ টাকা। অন্যদিকে বন্দে ভারতে এক্সপ্রেস এর ক্ষেত্রে এসি চেয়ার কারের ভাড়া হবে ১৫৬৫ টাকা এবং এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারের ভাড়া ২৮২৫ টাকা।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি জংশন এ পৌঁছতে সময় নেবে ৭ ঘন্টা। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ এবং স্ন্যাকস দেবে আইআরসিটিসি। তবে যদি আপনি খাবার না নিতে চান তাহলে আপনার বেশ কিছু টাকা বাঁচবে। খাবার দেওয়া বা না নেওয়া পুরোপুরি কিন্তু যাত্রীদের ইচ্ছার উপরে রয়েছে। তারা যদি কোন খাবার গ্রহণ না করেন তাহলে তারা বেশ কিছুটা টাকা বাঁচাতে পারেন। যদি আইআরসিটিসির তরফে দেওয়া খাবার কোন যাত্রী না গ্রহণ করেন তাহলে বন্দে ভারত এসি চেয়ার কারে টিকিটের খরচ পড়বে ৩৭৯ টাকা কম। অন্যদিকে যদি কোন ব্যক্তি এক্সিকিউটিভ চেয়ার-কারের যাত্রী হন তিনি খাবার না নিলে তার ভাড়া হবে ২৩৯১ টাকা।