একে একে স্বামী, সন্তান সকলেই সঙ্গ ত্যাগ করেছিলেন। জীবনের বহু চড়াই উতরাই পেরিয়ে ঠাঁই হয়েছিল রানাঘাট স্টেশনে। কোনওক্রমে সেখানেই কাটছিল দিন। সেখানে নিজের খেয়ালে গান করাই স্বভাব ছিল রানু মণ্ডলের। আর সেই গান এক লহমায় পালটে দিল জীবন। গানের গলার জোরেই রানুদেবী নজর কেড়েছিলেন পথচলতি একজনের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর গানের ভিডিও।
তারপর চারপাশের ছবিটা বদলাতে খুব একটা সময় লাগেনি। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর সন্তানের সান্নিধ্য মিলেছে। পরিবর্তন এসেছে জীবনযাপনের পদ্ধতিতেও। পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে পোশাক-সাজগোজেও। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। তাঁর কন্ঠে মুগ্ধ হয়েছেন মুম্বইয়ের সংগীত শিল্পীরাও। এবার সেই রানু মণ্ডলের কন্ঠেই মাতবে অর্জুনপুর আমরা সবাই ক্লাব। তিনিই গানলেন এবারের পুজোর থিম সং।
রানাঘাটের রানুদির চর্চা এখন সর্বত্র। সূদুর বলিউডেও তাঁর গান শুনে মেতেছেন হিমেশ, সোনু, এআর রহমান থেকে কুমার শানু। কেবল গানের গলার জোরেই গোটা দেশের মন জয় করে নিয়েছেন বাংলার এই সুকণ্ঠী মহিলা। এবার দুর্গাপুজোর সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়লেন রানু মণ্ডল। আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে অর্জুনপুর আমরা সবাই ক্লাবের জন্য পুজোর থিম সং গাইলেন তিনি। সেখবর অবশ্য অনেক আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এবার প্রকাশ্যে এল সেই গানের ট্রেলার।
গত মাসেই অর্জুনপুর আমরা সবাই ক্লাবের জন্য পুজোর থিম সং রেকর্ড করেন রানু। এমন সুযোগ পেয়ে যারপরনাই খুশির জোয়ারে ভেসেছেন রানুদেবী। ক্লাব কর্তৃপক্ষের উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই। গানের লিরিকস লিখেছেন প্রীতম দে। এবং গান বেঁধেছেন বিজয় শীল। আচমকাই যেন পালটে গেল তাঁর পৃথিবীটা।
কারণ ইতিমধ্যেই খ্যাতনামা প্রযোজক হিমেশ রেশমিয়া প্রযোজিত এবং অভিনীত ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ছবির তিনটে গান গেয়ে ফেলেছেন রানু। চারপাশে এত আলো অবশ্য কল্পনাও করেননি তিনি। এখন শুধু অপেক্ষা গানটি মণ্ডপে বাজার। তাঁকে দিয়ে গান করিয়ে খুশি ক্লাব কর্তৃপক্ষও। পুজোতে অর্জুনপুর আমরা সবাই ক্লাবেও দেখা মিলবে রানাঘাটের রানু মণ্ডলের।