বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রথম সারির স্টার অভিনেতা ছিলেন রাজেশ খান্না। একসময় তিনি রীতিমতো ইন্ডাস্ট্রি কাঁপিয়েছেন। সেকথা অবশ্য অজানা নয় কারোরই। তবে মাঝে বড়পর্দা থেকে বেশ কিছুটা দূরে সরে গিয়েছিলেন অভিনেতা। কামব্যাকও করেছিলেন পরে। আর সেই ছবি পরিচালনা করেছিলেন রাখি সাওয়ান্তের ভাই রাকেশ সাওয়ান্ত।
২০০৮ সালে (Wafaa: A Deadly Love Story) বাফা: এ ডেডলি লাভ স্টোরি দিয়েই পর্দায় কামব্যাক করেছিলেন অভিনেতা। এই ছবিতে লায়লা খান নামের অভিনেত্রীর সাথে একাধিক বোল্ড দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে, যা একেবারেই পছন্দ হয়নি তার সমগ্র অনুরাগীমহলের। ছবির গল্প অনুযায়ী, অমৃতলাল নামের এক ধনী ব্যক্তি নিজের থেকে বয়সে ছোট গীতাকে বিয়ে করেন। অমৃতলালের সম্পত্তির জন্যই তাকে বিয়ে করেছিলেন গীতা। বিয়ের পর সম্পত্তির লোভে নিজের স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন তিনি। এই নিয়েই এগিয়েছিল গল্প, যা খুব স্বাভাবিকভাবেই পছন্দ হয়নি দর্শকমহলের একাংশের।
ছবি মুক্তির আগে অভিনেতার কামব্যাক নিয়ে ঠিক যতটা উন্মাদনা ছিল, মুক্তির পর তাকে নিয়ে ঠিক ততটাই সমালোচনা হয়েছিল মিডিয়া থেকে অনুরাগীমহল সর্বত্র। এমনকি কম সমালোচনা হয়নি পরিচালককে নিয়েও। রাজেশ খান্না ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম রোমান্টিক নায়ক ছিলেন। তাকে পর্দায় রোমান্স করতে দেখেই অভ্যস্ত ছিলেন সমস্ত অনুরাগীমহল থেকে দর্শকমহল। তিনি পর্দায় প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করলে প্রেমে পড়তো হাজারো মহিলামহল। সেই কারণবশতই অভিনেতাকে রাকেশ সাওয়ান্ত পরিচালিত উল্লেখ্য ছবিতে দেখে মেনে নিতে পারেননি কেউই। পরবর্তীকালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তিনি। শারীরিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েন অভিনেতা। পরে ২০১২ সালে সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান রাজেশ খান্না।