খেলাক্রিকেট

IND vs AUS: ৩৬ বছরের এই ক্রিকেটার একক ভাবে জেতাবেন টেস্ট সিরিজ, ভয়ে কাঁপছে অস্ট্রেলিয়া

টেস্ট ক্রিকেটে অশ্বিনের নেওয়া ৪৪৯ উইকেটের মধ্যে ২২৬ টি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের।

Advertisement

বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ২০২৩-এর শুভ আরম্ভ হতে চলেছে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। নাগপুরের সবুজ গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। আসন্ন এই সিরিজে ভারতের বিপক্ষে চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে স্বাগতিকরা। তবে আসন্ন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার জন্য এই সিরিজ জয় করা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার পূর্বেই বড় ভবিষ্যৎবাণী করেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী।

এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই টেস্ট সিরিজ জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবেন ৩৬ বছর বয়সী রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি মনে করেন, যদি বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফর্মে থাকেন তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতা দূরহ হয়ে উঠবে। কারণ, অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিজের বোলিংয়ের জাদুতে যে কোন মুহূর্তে বিরোধী দলকে ধ্বংস করতে বেশ পারদর্শী। পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে ব্যাট হাতে শত রানের ইনিংস খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতীয় এই ক্রিকেটারের।

রবি শাস্ত্রী মনে করেন, আসন্ন টেস্ট সিরিজে ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার তুরুপের তাস হবেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। আপনাদের জানিয়ে রাখি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে ৮৯ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তাদের বিপক্ষে ৪৫৭ রান করেছেন অশ্বিন। ফলশ্রুতিতে সফরকারী দলের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠবেন তিনি। এছাড়াও টেস্ট ক্রিকেটে অশ্বিনের নেওয়া ৪৪৯ উইকেটের মধ্যে ২২৬ টি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো সাবধানে খেলার চেষ্টা করবেন অশ্বিনকে।

অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা অশ্বিনকে নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল বলেন, স্বাভাবিকভাবেই যে কোন দেশে সফর করার সময় অধিক পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়। ভারতের মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা যে বেশি আত্মনির্ভরতার সাথে খেলতে পারবেন সে কথা শতভাগ সত্য। পাশাপাশি রবিচন্দ্রন অশ্বিন একজন চ্যাম্পিয়ন বোলার। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি পরিকল্পনা প্রয়োজন হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার।

Related Articles

Back to top button