দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে খরচে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে। সর্বস্তরের মানুষ এই রেল পরিষেবা স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন। আর এই রেল পরিষেবা উন্নতিকরনের কাজে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে ভারতীয় রেল। আর ভারতের রেল ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী নজির বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। প্রযুক্তিগত দিক থেকে শুরু করে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ, সবদিক থেকেই বিশ্বের আধুনিক ট্রেন গুলিকে প্রতিযোগিতায় ফেলতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রজেক্টের অন্তর্গত হিসাবে এই কাজ চলছে গোটা দেশজুড়ে।
স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে ২০২৩ সালের ১৫ আগস্টের মধ্যে ৭৫ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হবে। আর সেই উদ্যোগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চালু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে হাওড়া থেকে এনজিপি রুটে চলছে একটি বন্দে ভারত। কিছুদিন আগেই উদ্বোধন হয়েছে এই ট্রেনের। এতদিন ট্রেনটি ৮ ঘন্টায় হাওড়া থেকে এনজিপি পৌঁছে যেত। তবে এরপর আরও তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যাবে গন্তব্যে। এ বার ঘণ্টায় আরও ২০ কিলোমিটার গতি বাড়তে চলেছে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এর ফলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার সময় কমতে চলেছে আরও কিছুক্ষণ। রেলের তরফে জানানো হয়েছে যে গতি বাড়ানোর জন্য কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলছে।
উচ্চগতি সম্পন্ন ট্রেন চলাচলে রেল ট্র্যাকে ক্ষতি হতে পারে, এই কারণে ১১০ কিলোমিটার বেগে এতদিন ছুটছিল হাওড়া এনজিপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তবে ব্যবস্থার উন্নতির ফলে সেই গতিবেগ আরও বাড়তে চলেছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে চলেছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে দৌড়াতে পারে।