প্রতিটি মানুষের জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ হলেন মা। অবশ্য সেকথা আর আলাদাভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে বলাই যায়, যেকোনো মেয়ের কাছেই মা হওয়ার অনুভূতি একটি আলাদারকম পাওয়া। আর সেই আশ্বাদ ইচ্ছা থাকলেও অনেকে পান না। এমন মানুষ আমাদের চারিদিকে প্রচুর রয়েছে, যার উদাহরণ বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতেও কিছু কম নয়। সম্প্রতি এই নিবন্ধের সূত্র ধরে তেমনি কয়েকজন অভিনেত্রীর নাম চর্চার আলোয় উঠে এসেছে।
১) শাবানা আজমি: জাভেদ আখতারের দ্বিতীয় স্ত্রী তিনি। তবে বিয়ের পর তাদের কোন সন্তান হয়নি। জাভেদ আখতারের প্রথম স্ত্রী ছিলেন হানি ইরানি। তাদের দুই সন্তান ফারহান আখতার ও জোয়া আখতার। শাবানা আজমির সাথে বিয়ের পর সন্তান না হলেও ফারহান ও জোয়াকেই নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসেন অভিনেত্রী।
২) রেখা: ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন রেখা। তবে তার সেই বিবাহ খুব বেশিদিন টেকেনি। এক বছরের মধ্যেই তাদের সেই সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। এমনকি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। তবে এরপর অভিনেত্রীকে ক্ষণিকের বিষন্নতা জড়িয়ে ধরলেও সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন রেখা। তবে পরবর্তীকালে আর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেননি অভিনেত্রী। সেক্ষেত্রে আর মা হাওয়া হয়নি তার। একটা সময় বলিউডের বিগবি অমিতাভ বচ্চনের সাথেও তার নাম জড়িয়েছিল।
৩) সায়রা বানু: ১৯৬৬ সালে ২২ বছরের বড় দিলীপ কুমারকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সায়রা বানু। বিয়ের পর প্রচুর চেষ্টা করা হলেও মা হতে পারেন নি তিনি। শোনা যায়, চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই সন্তান হয়নি তাদের।
৪) হেলেন: প্রথম বিয়েতে বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয়বার লেখক সেলিম খানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। সেলিম খানেরও দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন হেলেন। বিয়ের পর সন্তান না হওয়ায় তারা নিজেদের সন্তানের স্বপ্ন পূরণের জন্য অর্পিতা নামের একটি মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন।
৫) কাশ্মীরা শাহ: অভিনয় জগৎ’এর অন্যতম পরিচিত অভিনেত্রী তিনি। বিয়ের পর স্বাভাবিকভাবে মা হতে পারেননি এই অভিনেত্রী। ১৪ বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে সালমান খানের পরামর্শে সারোগেসির পথ অবলম্বন করেছিলেন। এরপরই দুই সন্তানের মা হন তিনি।