আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে দোল উৎসব। রংয়ের এই উৎসবের আগে উপহার পেতে চলেছেন দেশের ২৪ কোটি মানুষ। যাদের পিএফ একাউন্ট রয়েছে তারা উৎসবের আগেই পেতে চলেছেন সুদের টাকা। ২০২৩ সালের বাজেট এর আগে সুদের টাকা একাউন্টে জমা হবে বলে আশা করা হলেও, সেরকমটা হয়নি। বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রভিডেন্ট ফান্ডের নিয়মে কিছু পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। অ্যাকাউন্টধারীরা আশা করছেন, শীঘ্রই ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা অর্থের উপর প্রাপ্ত সুদের টাকা আসতে চলেছে। সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিলে সংস্থার তরফ থেকে এই টাকা দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো পর্যন্ত করা হয়নি।
জানিয়ে রাখি ইপিএফ ও একাউন্ট ধারকরা গত কয়েক বছর ধরে সময়মতো প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদ পাচ্ছেন না। ২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রভিডেন্ট ফান্ডে ৮.৫ শতাংশ সুদের হার স্থির করা হয়েছিল। গত বছরের মার্চ মাসে সুদের হার কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে এই নতুন বছর শুরু হয়ে গেলেও একাউন্টে এখনো পর্যন্ত কোন অর্থ স্থানান্তর করা হয়নি। বর্তমানে প্রভিডেন্ট ফান্ড একাউন্টে ৮.১ শতাংশ করে সুদ পাওয়া যায়। তবে আগামী অর্থ বর্ষে কত সুদ পাওয়া যাবে তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট করা হয়নি। সুদের হারের সিদ্ধান্ত নিয়ে থেকে পিএফ সেন্ট্রাল বোর্ড অফ স্ট্র্যাটেজিস্ট। আর সেই সিদ্ধান্তের উপর সিলমোহর দেয় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। অর্থ মন্ত্রকের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরে ঘোষনা হয় সুদ।
এ বছর দেশের সাধারন বাজে পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এবারে প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা করা টাকা তোলার উপরে টিডিএস ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ই এমন প্রভিডেন্ট ফান্ড একাউন্ট ধারকরা উপকৃত হবেন যারা প্যান কার্ড একাউন্টের সঙ্গে এখনো পর্যন্ত যুক্ত করেননি। যদি প্যান কার্ড যুক্ত করা না থাকতো তাহলে ৩০ শতাংশ করে টিডিএস কেটে নেওয়া হতো। কিন্তু এবার ২০ শতাংশ টিভিএস কাটা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। কোন পিএফ একাউন্ট ধারেও পাঁচ বছরের মধ্যে একাউন্ট থেকে অর্থ তুললে টিডিএস কেটে নেওয়া হয়।