বঙ্গোপসাগরের উপরে আবারো তৈরি হতে পারে একটি ভয়ানক ঘূর্ণাবর্ত, যার জেরে আবারো বাংলাদেশ ও তার কাছাকাছি এলাকায় ৩.১ কিলোমিটার পর্যন্ত একটি সার্কুলেশন বিস্তৃত হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই ঘূর্ণাবর্তে ১৩০ নট গতিতে ভারতের ৩০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৩৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
অন্যদিকে আবার কলকাতার তাপমাত্রা প্রতিদিন নতুন নতুন রূপ দেখাচ্ছে আমাদের। প্রতিদিন তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এদিকে আবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে এসেছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই তাপমাত্রা আর নতুন করে ২০ ডিগ্রির নিচে আসবে না। অন্যদিকে, আজকে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৩ শতাংশ।
পশ্চিম রাজস্থান ও পাঞ্জাবের মধ্যে একটি ঘুর্নিঝড় সঞ্চালন শুরু হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ১.৬ কিলোমিটার। ২৪ ঘন্টায় পশ্চিম ভারত ও উত্তর ভারতে আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। একই সঙ্গে উত্তর ভারতে বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস ব্যক্ত করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও দিল্লির আবহাওয়ায়। উত্তর ভারতে বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস জারি হয়েছে। উত্তর পশ্চিম ও মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।
সিকিম, অসম ও আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আজকে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গিলগিট, বালটিস্থান, মুজফফরাবাদ, লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উপরের অংশের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের মত কিছু রাজ্যে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা আছে। সতর্কতা অনুযায়ী বিরাট বদল আসতে চলেছে আগামী পাঁচদিনের আবহাওয়ায়। তবে পশ্চিমা বাতাসের ফলে দেশে কিছুটা শীত বাড়বে। মূলত উত্তর ভারতেই এই শীতের প্রভাব পড়তে পারে।