আজকের যুগে দাঁড়িয়ে চুলের যত্ন নিতে আমরা অনেকধরনের উপায় অবলম্বন করে থাকি। কখনো পার্লারে গিয়ে, আবার কখনো ডাক্তারের সাহায্য নিয়ে কিংবা ঘরোয়াভাবে অনেকসময় চুলের যত্ন নিতে দেখা যায় অনেককে। তবে চুলের বহু সমস্যা তুরি মেরে দূর করে দিতে পারে অ্যালোভেরা। চুলের ঘনত্ব ও কোমলতা বাড়াতে পারে অল্পসময়ই। যদি অ্যালোভেরা নিজের চুলে চারটি উপায়ে প্রয়োগ করা যায় তাহলে, কয়েকদিনের মধ্যেই তফাৎ চোখে পড়বে নিজেরই।
১) অ্যালোভেরা ও নারকেল তেল: একটি পাত্রে ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ২ চা চামচ নারকেল তেল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে হালকা আঁচে গরম করে নিতে হবে। এরপর সেটি একটু ঠান্ডা হলে চুলের গোড়ায় ভালো করে দিয়ে মালিশ করে নিতে হবে। মালিশের পর এক থেকে দেড় ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ভালো করে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এটি চুল পড়া কমাতে ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
২) অ্যালোভেরা হেয়ার মাস্ক: একটি পাত্রে ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ চামচ দই ও ২ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণ চুলে ভালো করে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ছেড়ে দিতে হবে। এরপর ভালো করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এটি চুলের আর্দ্রতাকে বৃদ্ধি করে। চুল হয়ে ওঠে আরও বেশি প্রাণবন্ত।
৩) অ্যালোভেরা স্প্রে: একটি পাত্রে আধ কাপ অ্যালোভেরা জেল ও তার এক চতুর্থাংশ আদার রস নিন। এরপর এই দুটি জিনিস ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভোরে সেটি গোটা চুলে স্প্রে করে নিতে হবে। এটি রাতভোর লাগিয়ে রাখতে পারেন কিংবা ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখেও চুল ধুয়ে নিতে পারেন। এটি চুলকে কোমল রাখতে ও চুলের সাধারণ উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৪) লিভ ইন কন্ডিশনার: একটি পাত্রে আধ কাপ অ্যালোভেরা জেল ও কয়েক ফোটা ল্যাভেন্ডার তেল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটি লিভ ইন কন্ডিশনারের কাজ করে। এটি চুলে লাগানোর পর ধোয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এটি হাতে নিয়ে যদি চুলে ভালো করে লাগানো যায় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে মেরামত করতে ভীষণভাবে সহায়তা করে।