ফেব্রুয়ারি মাসের বিদায়ের আগেই দুপুরের দিকে তীব্র দাবদাহ চলছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। অন্যান্য বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে হালকা শীতের আমেজ থাকে। চলতি বছর শীতের আমেজ তো দুরস্ত, লেপ-কম্বল গুটিয়ে পাখা চালাতে হচ্ছে প্রত্যেক বাড়িতে। তবে উত্তরবঙ্গে হচ্ছে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি। এখনো পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। দিনের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। রাতেও তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। বলা যেতে পারে, দক্ষিণ বঙ্গবাসী ইতিমধ্যেই চলতি বছরের গরমের ট্রেলার দেখে নিচ্ছেন।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী কয়েকদিন দার্জিলিং, কালিম্পং বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দার্জিলিং ও কলিংপং-এ বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি কিছু জায়গাতে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। তবে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে বলে মনে করছে না হাওয়া অফিস। আর হয়তো কয়েকদিন বাদেই স্বাভাবিক বা তার বেশি থাকবে উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি না হলেও উপকূল এবং তার সংলগ্ন জেলাতে হালকা কুয়াশা দেখা যেতে পারে। এছাড়া আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে কিছু জেলায়। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি ইত্যাদি জায়গায় সকালের দিকে হালকা কুয়াশার চাদর থাকবে। কলকাতায় আজ সকালের দিকে আংশিক মেঘলা আকাশ ছিল এবং পরে বেলা বাড়ালে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। দিনে ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকায় বেশ ভালই গরম অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫৩ থেকে ৯৫ শতাংশ থাকায় আদ্রতাজনিত অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে।
তবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে আজ ঢুকছে পশ্চিমে ঝঞ্ঝা। এর প্রভাবে দক্ষিণা ও দক্ষিণ পশ্চিম বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে যাবে। এর ফলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলিতে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছিল জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল এবং উত্তরাখন্ডে।