Thursday Astrology: এই বিশেষ দিনেই লক্ষ্মী-নারায়ণের পুজো করলে মিটবে অর্থের অভাব, দূর হবে কর্মজীবনের সমস্যাও
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারকে লক্ষ্মীবার হিসেবেই মেনে চলা হয়। এদিন ভক্তিভরে মা লক্ষ্মীর পুজো করলে সংসারে অর্থের অভাব থাকে না বলেই মানা হয়ে থাকে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী-নারায়ণের একসাথে পুজো করলে মেলে সুফল। যদি উপবাস করে পুজো করা যায় তাহলে, ফল মিলে শীঘ্রই। ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকে গৃহস্তের ঘরে।
যদি কেউ চায় তার সংসারে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকুক তাহলে, প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়ম মেনে পুজো করতে হবে লক্ষ্মী-নারায়ণের। আর সেই পুজোতে যদি তারা সন্তুষ্ট হন তাহলে, অর্থের অভাব দূর হবে চিরতরে। অর্থ লাভের পাশাপাশি ঘরে বিরাজ করবে সুখ-শান্তিও।
এই বৃহস্পতিবারেই যদি পুজোর সময় ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি কিংবা ছবির সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো যায় তাহলে, জীবনে বিরাজ করবে তার আশীর্বাদ। দূর হবে দীর্ঘদিনের সমস্যাও। পাশাপাশি এই দিনেই যদি ব্রহ্ম মুহূর্তে স্নান সেরে ‘ওম ব্রি বৃহস্পতে নমঃ’ মন্ত্রটি ভক্তিভরে উচ্চারণ করা যায় তাহলে, আর্থিক সমস্যা কেটে যায় চিরতরে। সংসারে বিরাজ করে সুখ-সমৃদ্ধির ছায়া।
যদি কারোর কর্মজীবনে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে, প্রতি বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ময়দা বা গুড় আবশ্যিকভাবে খাওয়াতে হবে গরুকে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হয়, এই নিয়ম মেনে চললে কর্মজীবনের সমস্ত সমস্যা দূর হয়। পাশাপাশি চাকরি সংক্রান্ত সমস্যায় যদি কেউ অস্থিরতায় ভোগেন তাহলে, প্রতি বৃহস্পতিবার হলুদ বস্ত্র দান করা উচিৎ বিষ্ণুমন্দিরে। কারণ শাস্ত্র মতে, হলুদ রঙের বস্ত্র পছন্দ করেন ভগবান বিষ্ণু। সেক্ষেত্রে হলুদ বস্ত্রদানে খুশি হন তিনি। দূর হয় চাকরি সংক্রান্ত অস্থিরতাও। এদিন ব্রাহ্মণদেরও ছোলা, ডাল কিংবা ফল দান করা যায়,যা সমানভাবে খুশি করে ভগবান বিষ্ণুকে।