মার্চের প্রথম থেকেই গরমের দাপটে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। তবে এই দাবদাহ থেকে খুব শীঘ্রই নিস্তার পাবেন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার বাসিন্দারা। শোনা যাচ্ছে আগামী দশ তারিখ থেকেই বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যের ৬টি জেলায়। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে আগামী ১০ মার্চ থেকে। ১১ এবং ১২ মার্চ এই পাঁচটি জেলার পাশাপাশি বীরভূমে বেশ কিছু জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির বিশেষ কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
কোন দিকে উত্তরবঙ্গের উপরে দুটো জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পং হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। তবে উত্তরের বাকি জেলাগুলিতে তেমন কোন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গে দিন এবং রাতের তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তন হবে না আগামী পাঁচ দিনে। ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে গ্রীষ্মকালীন দাবদাহ লক্ষ্য করতে পারে দুই বঙ্গই। অন্যদিকে আবার কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় সকাল থেকেই রোদের তাপ অত্যন্ত বেশি। দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মোটামুটি ৩৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে এবং সেটা যে আরো বৃদ্ধি পাবে সেটা নিয়ে কার্যত নিশ্চিত আবহাওয়া দপ্তর। হাওয়া অফিসে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে যাবার ফলে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ৫ দিনে দিনের বেলা এবং রাতের বেলা তাপমাত্রায় তেমন কোন পরিবর্তন হবে না। আজকে যে ধরনের গরম অনুভূত হচ্ছে আগামী কয়েকদিন সেই একই রকমের গরম অনুভূত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে শনিবারের পর থেকে তাপমাত্রার পারদ আরো একটু চড়বে বলেই জানানো হয়েছে। কলকাতা এবং আশেপাশের অঞ্চলে এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় আপাতত বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। মঙ্গলবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা সর্বোচ্চ ছিল ৮১%। আজ বুধবার হোলির দিন সকাল থেকেই রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া থাকবে। কলকাতায় এবং আশেপাশের অঞ্চলে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৪ ডিগ্রি এবং ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।