সোমবার বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে মোট ২,৭২২ জনের নিয়োগের ব্যাপারে একেবারে সবুজ সংকেত দিয়ে দিলো পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা। রাজ্যজুড়ে নিয়োগ দুর্নীতির একের পর এক মামলা উঠে এলেও এবারে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে রাজ্য সরকার। এদিকে আবার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘী উপনির্বাচনে হার হজম করতে হয়েছে শাসক দলকে।সেই কারণে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের মানুষের মন জয় করতে উঠে পড়ে লেগেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ১৭২৯টি পদ পূরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। একইসঙ্গে গ্রন্থাগার দপ্তরের ৭৩৮ টি শূন্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগ হবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় যেখানে নিয়োগ হবে ৬০ জন। এছাড়াও গ্রামীণ লাইব্রেরীর জন্য পূর্ব বর্ধমানে ৫৫ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ৫২ জনকে নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে আবার কৃষি দপ্তরে ১২২ টি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে মমতার মন্ত্রিসভার তরফ থেকে। বৈঠকের আরো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কোচবিহারে কামতাপুরী লিবারেল অর্গানাইজেশন ছেড়ে দেওয়া ২ জনকে এবং ঝাড়গ্রামে মাওবাদী সংগঠন থেকে মূল স্রোতে ফেরা ২২ জনকে হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। এছাড়া পুরুলিয়ায় দুটি একলব্য মডেল স্কুল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সমস্ত মডেল স্কুলে বিভিন্ন পদে ৭৪ জনকে নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কালিম্পং এবং ঝাড়গ্রামে সমবায় দফতরের বিভিন্ন পদে ৪৪ জনকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্তও গতকাল নিয়েছে মন্ত্রিসভা।
উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো, সাম্প্রতিক অতীতে মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের একাধিক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। আদালতে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলা চলছে। তার মধ্যে আবার, সাগরদিঘী উপনির্বাচনে বামসমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস এর কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসক দলকে। এই আবহে এবার সরকারি স্তরে সংখ্যালঘুদের মন জয় করতে তড়িঘড়ি এই পদক্ষেপ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে রাজ্যের গ্রন্থাগার গুলিতে দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পদ পড়ে থাকার অভিযোগ উঠছিল। সেই প্রসঙ্গে গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলছেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদন মেলার পর গ্রামীণ লাইব্রেরীতে ৭৩৮ টি পদে নিয়োগ হবে।