ভারতীয় ক্রিকেট দলে তার আগমন ছিল ঝড়ের গতিতে। সবাই ভেবেছিলেন, এই ভারতীয় ক্রিকেটার কমপক্ষে দেশের জার্সিতে ১০ থেকে ১৫ বছর খেলবেন। ২০১৬ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি ওডিআই ম্যাচে যখন তিনি ৮১ বলে ১০৪ রান করে টিম ইন্ডিয়াকে জয় এনে দেন, তখন অনেকেই ভেবেছিল ভারতীয় দলে দ্বিতীয় বিরাট কোহলির আগমন ঘটেছে। সেই বিধ্বংসী ক্রিকেটার খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারেন বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
এতক্ষণ আমরা আপনাদের সামনে ভারতের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার মনীশ পান্ডের কথা বলছি। হ্যাঁ, খুব শীঘ্রই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারেন বলে জল্পনা উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাত্র ৬৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে এই খেলোয়াড়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার এখন প্রায় শেষ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের টিম ম্যানেজমেন্ট ভুলে গেছে এই ক্রিকেটারকে। তাই এমন সময় তার অবসরের ঘোষণায় কেউ বিস্মিত হবেন না।
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উত্থান পতন লেগেই রয়েছে। ধারাবাহিক পারফরমেন্স দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বারবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। যদি ভারতীয় এই ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের কথা বলি সে ক্ষেত্রে আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, মনীশ পান্ডে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ২৯টি ওডিআই এবং ৩৯টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তবে ব্যাট হাতে কখনোই সেরা সাফল্য পাননি তিনি। মনীশ পান্ডে ২৯টি ওয়ানডেতে মাত্র ৫৬৬ রান এবং ৩৯টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বমোট ৭০৯ রান করেছেন।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ৩৩ বছর বয়সী মনীশ পান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ইতিমধ্যে ভারতীয় দলের মিডল ওর্ডারে সূর্য কুমার যাদব এবং শ্রেয়াস আইয়ার শক্তভাবে নিজেদের নাম লিখে ফেলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় দলে তার প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগেও তার পারফরমেন্স হতাশা জনক। সর্ব দিক বিবেচনা করে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে করছেন, খুব শীঘ্রই নিজের ক্যারিয়ারে কঠিনতম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মনীশ পান্ডে।