বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক মহেশ ভাট। শেষ বেশ কয়েকমাস ধরে আলিয়া-রণবীরের বিয়ের সূত্রে চর্চায় তিনিও। বলিউডের হরর ও বোল্ড ছবি তৈরীর জন্যই তিনি জনপ্রিয়। উল্লেখ্য, সবধরনের ছবিই বানিয়েছেন তিনি। তার পরিচালিত বেশ কয়েকটি ছবির নাম- সাথী, জিসম, রাজ, রাজ ২, মার্ডার, রোগ, দাস্তাক, দিল হে কে মানতা নেহি, হাম হে রাহি পেয়ার কে, ডুবলিকেট, সারক ২’এর মতো আরও একাধিক জনপ্রিয় ছবি পরিচালনা করেছেন পরিচালক।
শুরুতেই কিরাণ ভাটের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মহেশ ভাট। যার আগের নাম ছিল লরেন ব্রাইট। পরবর্তীকালে তাদের দুটি সন্তান হয় রাহুল ভাট ও পূজা ভাট। ৯০’এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন পূজা ভাট। তবে একটা সময় ৮০’র দশকের জনপ্রিয় প্রথম সারির অভিনেত্রী পারভিন ববির সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন পরিচালক। সেই নিয়ে চর্চাও হয়েছিল মিডিয়াতে। এরপরেই কিরাণ ভাটের সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যায় মহেশ ভাটের। পরবর্তীকালে সোনি রাজদানের সাথে আংটি বদল করেন পরিচালক। তাদের দুই সন্তান, আলিয়া ভাট ও শাহিন ভাট।
তবে একটা সময় নিজের মেয়ে পূজা ভাটকে নিয়ে তুমুল চর্চিত হয়েছিলেন পরিচালক। মেয়ের সাথেই করেছিলেন বোল্ড ফটোশুট। পূজা ভাটকে কোলে বসিয়ে লিপলক করতে দেখা গিয়েছিল পরিচালককে। মিডিয়ার মাধ্যমে সেই ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। আর সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোচিত হয়েছিলেন তারা। এমনকি লোকজনদের চুপ করানোর জন্য প্রেসমিটও আয়োজন করেছিলেন সেইসময়ে। মিডিয়াকে ডেকে পরিচালক মহেশ ভাট যা বলেছিলেন, তা শুনে চমকে গিয়েছিলেন সাধারণ জনতাও। প্রকাশ্য মিডিয়ায় পরিচালক জানিয়েছেন, পূজা ভাট তার মেয়ে না হলে তিনি তাকেই বিয়ে করে নিতেন। এই মন্তব্য প্রকাশ্য মিডিয়ায় করার পর থেকে আরো বেশি করে পরিচালক কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন সেইসময়। এমনকি মিডিয়ার পাশাপাশি সাধারণ জনতার কাছ থেকেও নানা কু-মন্তব্য শুনতে হয়েছিল তাদের। উল্লেখ্য, সেইসময় পূজার কেরিয়ারের গ্রাফও ছিল নিম্নমুখী।
মহেশ ভাটের সাথে বিতর্কিত ফটোশুট পাশাপাশি অভিনয় জীবনের ধীর গতি সবমিলিয়ে সেই সময় একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। আর এই কারণবশতই সেইসময় অভিনেত্রী মদে রীতিমতো আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি সেকথা বুঝতে পেরেছিলেন নিজেই। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে এবং নিজের কারণেই মধ্যপান নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন অভিনেত্রী। আপাতত, সেই পুরনো প্রসঙ্গই চর্চায় উঠে এসেছে মিডিয়ার পাতায়।