শুরুর সময় থেকেই জি বাংলার ‘গৌরী এলো’ টিআরপি তালিকায় রয়েছে উপরের দিকেই। দর্শকদের মাঝেও এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা নেহাত কম নয়। গৌরী ও ইশানের অনস্ক্রিন রসায়নও শুরু থেকেই নজর টেনেছে দর্শকদের। অবশ্য সেকথা আর আলাদাভাবে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকদের উচ্ছ্বাসই তার স্পষ্ট প্রমাণ। তবে এই মুহূর্তে দর্শকদের একাংশের মাঝে পর্দায় গৌরী ও ইশানের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যকে নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কটাক্ষের স্বীকার হয়েছেন ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্ররাও।
খুব সম্প্রতি ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী পর্দায় গৌরী ও ইশানের মিলন পর্ব দেখানো হয়েছে। আর তাদের সেই মিলন পর্ব নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেটজনতার একাংশ। জি বাংলার পর্দায় সেই পর্ব সম্প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার কটাক্ষের তীরে বিদ্ধ হয়েছেন ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্ররা। কেউ লিখেছেন, গল্পের গরু গাছে উঠেছে। আবার কারোর কথায়, টিআরপি পেতে ঠাকুর দেবতাকেও ছাড়ছেন না ধারাবাহিকের কর্মকর্তারা। আবার কেউ রসিকতার ছলে লিখেছেন, ঘোমটা কালীর এটাই দেখার বাকি ছিল।
কদিন আগে পর্দার ইশানকে ধারিবাহিকের মিলন পর্ব উপলক্ষে খালি গায়ে দেখা গিয়েছিল পর্দার সামনে। সেই নিয়েও কথা শোনাতে ছাড়েননি একাংশ। এবার সেই প্রসঙ্গেই পর্দার গৌরী অর্থাৎ মোহনা মাইতির কাছে আনন্দবাজারের তরফ থেকে প্রশ্ন রাখা হলে তিনি জানান, শুটিংয়ের ব্যস্ততা থাকায় সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্য বিশেষ নজরে আসেনি তার। তার কথায়, সবসময়ই কিছু না কিছু নিয়ে কটাক্ষ চলতেই থাকে নেটদুনিয়ায়। তবে তিনি সমস্ত নেতিবাচক ব্যাপারের মধ্যে থেকেও ইতিবাচক দিকটি খুঁজে বার করার চেষ্টা করেন। আর যদি তিনি প্রতিনিয়ত চলতে থাকা কটাক্ষে মন দিতেন তাহলে, ভালো করে অভিনয়টাই করতে পারতেন না বলে জানিয়েছেন মোহনা। শেষে তিনি জানিয়েছেন, যার যেমন মনে হচ্ছে তারা তেমনি লিখছেন। তবে সেইসমস্ত বিষয়ে তাকে খুব একটা প্রভাবিত করে না।